Uttarkashi Rescue

থমকে উদ্ধারকাজ, হিমালয়ের ভূতাত্ত্বিক অনুমান কঠিন, বলছেন বিশেষজ্ঞই

জাতীয়

হিমালয় সম্পর্কে ভূতাত্ত্বিক অনুমানে সমস্যা রয়েছে। যে কারণে উদ্ধারের কাজ নতুন নতুন সমস্যার মুখে পড়ছে। কী হতে পারে আগে থেকে বোঝা যাচ্ছে না।
উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজে যুক্ত ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির সদস্য বিশাল চৌহান শুক্রবার এই সমস্যার কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমে। ১২ নভেম্বর থেকে ধস পড়ে এখানেই চারধাম প্রকল্পের নির্মীয়মান সিল্কিওয়ারা সুড়ঙ্গে আটক ৪১ শ্রমিক। 
শুক্রবার রাত পর্যন্ত নতুন করে ধস কাটার কাজ শুরু করা যায়নি। চওড়া পাইপ বসিয়ে শ্রমিকদের বের করে আনার পরিকল্পনা বারবারই বাধার মুখে পড়ছে। বৃহস্পতিবার ধস কাটার ড্রিলিং মেশিন আটকে যায় ভেতরে থাকা লোহার জালে।  
হিমালয়ের ভূতত্ত্ব অনুমানে সমস্যার কথা নতুন নয়। কিন্তু হিমালয়েই সুড়ঙ্গ করে চারধাম প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্র। ভূতাত্ত্বিক, পরিবেশজনিত সমীক্ষা বিশদে না করার অভিযোগ প্রথম থেকেই। যে বিশেষজ্ঞ, প্রযুক্তিবিদ, নির্মাণকর্মীরা দিনরাত এক করে উদ্ধারের কঠিন কাজ চালাচ্ছেন, এমন সিদ্ধান্তের মাশুল দিতে হচ্ছে আটক শ্রমিকদের মতো তাঁদেরও।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা অথরিটি বা এনডিএমএ’র সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক সৈয়দ আতা হাসনাইন বলেছেন, ‘‘পাহার কেটে টানেল করার কাজ বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে। জম্মু কাশ্মীর বা অরুণাচল প্রদেশে হচ্ছে। আমরা প্রতিদিনই নতুন শিক্ষা নিচ্ছি। হিমালয়ের ভূতত্ত্ব পূর্ণাঙ্গ বৈজ্ঞানিক চেহারা এখনও নেয়নি। তবে দুর্ঘটনা বছরে একটি কি দু’টি হচ্ছে। আমরা এগনোর চেষ্টা করছি। উত্তরকাশীর এই দুর্ঘটনার উদাহরণ আমাদের কাছে ছিল না।’’ 
১২ নভেম্বর সুড়ঙ্গের মুখ থেকে ২০০ মিটার দূরে নামে ধস। আরও ভেতরে ছিলেন শ্রমিকরা। তাঁরা আটকে যান। দু’টি সরু পাইপে অক্সিজেন এবং খাদ্য পানীয় দেওয়ার কথা জানায় প্রশাসন। ৬ ইঞ্চি পাইপ বসিয়ে তৈরি গরম খাওয়ার দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। কী কঠিন অবস্থা সুড়ঙ্গে, জানিয়েছেন শ্রমিকরা। যন্ত্রণায় তাঁদের পরিজনরা, দেশবাসীও। 
এর আগেকাজের মাঝেও ধস নেমে আটকে যায় খনন, ধস কাটার যন্ত্রও বিকল হচ্ছে দফায় দফায়। পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই মত, ঘটনার পর দীর্ঘ সময় প্রশাসনিক তৎপরতায় খামতি ছিল। শ্রমিকদের পরিজনরাও জানিয়েছেন ক্ষোভ। অনিশ্চয়তা শুক্রবারও রাত পর্যন্ত কাটেনি। 
এনডিএমএ’র সদস্যরা জানিয়েছেন যে শ্রমিকদের বের করার পাইপ ধস কেটে বসাতে হচ্ছে একটিট পর আরেকটি, ঝালাই করে জুড়তে হচ্ছে। আগের দিন পাইপও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অগার মেশিনেও সমস্যা দেখা দেয়। হাসনাইন বলেছেন, ‘‘ধসের বাকি অংশে ধাতব বা কঠিন বস্তু বাধা হবে কিনা পরীক্ষার জন্য বিশেষ রাডার ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে কতক্ষণে উদ্ধার শুরু করা যাবে সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নয়।’’

Comments :0

Login to leave a comment