বর্ষবরণের দিনে বিশ্বজুড়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই পালন করছেন। কিন্তু গাজায় ছবিটা অন্যরকম। ইজরায়েলের সেনারা বছর শুরু দিনেও রেহাই দিল না শিশুদেরও।
বুধবার উত্তর জাবালিয়ায় বুরেজি শরণার্থী শিবিরে বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। নিহত হয়েছেন ২৯ প্যালেস্তিনীয় নাগরিক। তার মধ্যে রয়েছে শিশুরা। দক্ষিণে খান ইউনিসে ইজরায়েলের বোমাতেও মারা গিয়েছে শিশুরা।
বোমা আর গুলিতে ঘরছাড়া প্যালেস্তাইনের লক্ষ লক্ষ পরিবার। শিশুরা এই শীতে খোলা আকাশের নিচে। ত্রাণ শিবির থেকে হাসপাতাল, ইজরায়েলের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না কোনও জায়গাই। ঠাণ্ডায় জমেও মারা যাচ্ছে শিশুরা।
এক বছরের বেশ কিছু সময় ধরে চলছে প্যালেস্টাইনের সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘাত। ইজরায়েল টানা সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে গাজায়। গণহত্যার অভিযোগে সরব বিশ্বের বহু মানুষ।
গাজায় নিহত ৪৫ হাজারের বেশি নাগরিক। তার মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি শিশু ও নারীরা। গাজা এখন ভগ্নপ্রায় শহরের মতো। এরই মধ্যে আবার প্রবল বৃষ্টিতে জনম মগ্ন হলো গাধার বিভিন্ন এলাকা। বাসিন্দাদের মাথার উপরই স্থায়ী ছাদ নেই। জানুয়ারিতে গাজার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ১৭ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শিশুদের মাথার ওপর হাত বা কোন নিরাপদ আশ্রয় না থাকায় এই শীতের দাপটে প্রাণ হারাচ্ছে শিশুরা। বোমার সঙ্গে শিশুদের প্রাণ যাচ্ছে ঠাণ্ডায়। তবুও যুদ্ধ থামানোর কোন আগ্রহই নেই ইজরায়েলের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে মদত দিয়ে যাচ্ছে ইজরাইলকে।
ইজরায়েলের দাবি, গাজার সশস্ত্র প্রতিরোধী গোষ্ঠী হামাস-র কমান্ডার অব্দ অল হাদি সবা নিহত হয়েছেন ড্রোন হামলায়।
Gaza children
বছর শুরুতেই বোমা গাজায়, প্রবল শীতে মারা যাচ্ছে নিরাশ্রয় শিশুরা
×
Comments :0