চব্বিশ ঘন্টায় মধ্যে অবৈধ বদলির নির্দেশ না ফেরালে আরও বড় প্রতিবাদের মুখে পড়বে সরকার। সোমবার স্বাস্থ্য ভবনে সরাসরি এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন চিকিৎসকরা।
দুই শিক্ষক-চিকিৎসককে বদলি করেছে প্রশাসন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন দুই চিকিৎসকই। প্রতিহিংসায় এমন বদলির বিরুদ্ধে সোমবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস। আন্দোলনে থাকার জন্য প্রতিহিংসায় স্বাস্থ্যভবনের কর্মকর্তারা অনৈতিক কাজ করছেন। এই বদলি জাতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী হয়নি এমনটাই বললেন চিকিৎসক আন্দোলনের নেতা ডাঃ উৎপল ব্যানার্জি।
আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে যুক্ত থাকার জন্য দুই চিকিৎসক শিক্ষককে বেআইনি বদলির অভিযোগ করেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার গ্রামীণ হাসপাতালে বদলি করে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন। পুলিশ ঢুকতে বাধা দিলে তাঁদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। পুলিশের দাবি ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা লাগু আছে স্বাস্থ্য ভবন চত্বরে। তাই জমায়েত করতে দেওয়া যাবে না। দীর্ঘক্ষণ কথাকাটাকাটি পর ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্যভবনের ভিতরে আধিকারিকদের সাথে কথা বলতে যান। ডাঃ উৎপল ব্যানার্জি বলেন, "আমরা স্বাস্থ্যভবনের ভিতরে গিয়ে কথা বলি এবং এই বেআইনি বদলির নির্দেশ বাতিল করার দাবি জানিয়ে এসেছি। অধিকারিকরা জানান তাঁরা এই অভিযোগকে বিবেচনা করে দেখবেন। আমরা স্বাস্থ্যভবনকে ২৪ ঘন্টা সময় দিয়ে এসেছি, কাল আবার আসবো"।
সিনিয়র চিকিৎসকরা অভিযোগ করছেন এই ঘটনাও রাজ্যে চলমান থ্রেট কালচারের অংশ। অধ্যাপক চিকিৎসককে জেলা হাসপাতাল থেকে গ্রামীন হাসপাতালে বদলি করে দিলে সমস্যা রোগীদের হয়। জেলা হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকে এবং জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশী হয়। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ করার জন্য শুধুমাত্র প্রতিহিংসা থেকেই জলপাইগুড়িতে দু'জন বর্ষীয়ান চিকিৎসককে গ্রামীণ হাসপাতালে বদলি করে দেওয়া হয়েছে এমনটাই মত চিকিৎসক মহলের।
Comments :0