উচ্ছেদ হওয়ায় পাট্টাদার বর্গাদারদের চাষের জমি উদ্ধার করতে লাল ঝান্ডার মিছিলে সামিল হলেন এলাকার ৫ মৌজার মানুষ। উচ্ছেদ পরিবারের মহিলা পুরুষরা সেই জমিতে ধান চারা রোপন করে জমি পুনরুদ্ধার করলেন। ডেবরা ব্লকের গোলগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার দামোদরপুর মৌজায় জমি উদ্ধার হয়।
অঞ্চল ক্ষেতমজুর সংগঠনের সম্পাদক মঙ্গল হাঁসদা বলেন, "আজ ১২ বছর ধরে রেকর্ড নথি ভূক্ত পাট্টাদার সন্ন্যাসী সিং, কার্তিক সিং, তপন সিং এমন ১৯টি পরিবারকে তৃণমূল কংগ্রেস উচ্ছেদ করে সেই জমি টাকার বিনিময়ে লোককে চাষ করতে তুলে দেয়। একাজে পুলিশ প্রসাশন সহ ভূমি দপ্তর নীরব থেকে পুরানো জোতদার অরুন দত্ত, বনমালি দত্তদের সাজানো মামলায় গরীব মানুষকে হেনস্তা করে। আজ কৃষক সভার সহযোগিতায় এবং ক্ষেতমজুর সংগঠনের ডাকে এলাকার দামোদরপুর, করন্ডা, জোতনারায়ন, বাঘাগেড়্যা, চন্দনপুরের ৫ মৌজার ক্ষেতমজুর জমি উদ্ধারের আন্দোলনে সামিল হয়। গরীব মানুষ আজ এক হয়েছে। আর বিভাজনের রাজনীতিতে নয়। মরতে হলে লাল ঝান্ডার লড়াইতে সামিল হয়েই অধিকার পুনরুদ্ধার লড়াই করে মরবো। এমন মরণপন শপথে গরীব মানুষের দীপ্ত মিছিল গ্রাম ভেঙে শুরু হয়। মজুরী বৃদ্ধির আন্দোলনের বার্তা সহ এমন উচ্ছেদ হওয়া পাট্টাদার বর্গাদার দের জমি উদ্ধারের লড়াই নতুন মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ডেবরা ব্লক জুড়ে শুরু হয়েছে সেই জমির লড়াইয়ের বার্তা।
ক্ষেতমজুর সংগঠনের ব্লক সম্পাদক অশ্বিনী পাত্র বলেন, "আজ ডেবরা ব্লকের আরও একটি জায়গায় উচ্ছেদ হওয়া পাট্টাদারের জমি উদ্ধার করে আমরা চাষ শুরু করেছি। আর থামবো না আমরা। পুলিশ প্রসাশন বহু অত্যাচার সহ তৃণমূলের সাজানো দায়ের করা মামলায় আমাদের নিঃস্ব করেছে। আর উচ্ছেদ করে সেই জমি অন্যকে দিয়ে চাষ করিয়ে টাকা লুঠেছে তৃণমূল। আজ জলিবান্দা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার হোদলা মৌজায় উচ্ছেদ হওয়া জমি উদ্ধার করে আমরা চাষ শুরু করেছি।"
গত এক সপ্তাহ আগে ৫ আগষ্ট ডেবরা ব্লকের লোয়াদা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার চকবাজিতপুর মৌজায় লাল ঝান্ডার মিছিল সহকারে উচ্ছেদ হওয়া বর্গাদার ও পাট্টাদারদের জমি উদ্ধারে সামিল হয় কৃষক সভা ও ক্ষেতমজুর সংগঠন। সেদিনই ৩৬ জন বর্গাদারের প্রায় ৮ বিঘা জমি উদ্ধার করে চাষ শুরু করা হয়।
Comments :0