ভোটার তালিকায় সংশোধন সর্বদা হয়। বরং সংশোধনের দাবিতে বামপন্থীরা বারবার সরব হলেও কাজ হয়নি। কিন্তু সংশোধনের নামে এসআইআর’র অভিসন্ধি ভালো না। কমিশনের মনোভাবে বিজেপি-আরএসএস’র রাজনীতির প্রতিফলন পড়ছে।
সোমবার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
চক্রবর্তী বলেন, বরাবর সংশোধন হয়, আমরা তার পক্ষে। ডবল এন্ট্রি বাদ দেওয়া হোক, মৃতদের নাম বাদ দেওয়া হোক আমরা তো চেয়েছি। কিন্তু এসআইআর চালুর আগে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক হলো না কেন? বাপ-ঠাকুর্দার কাগজ খুঁজে বেড়াতে বলছে কেন? অভিসন্ধি ভালো না।
চক্রবর্তী বলেন, বাংলাভাষী বলে ‘সন্দেহজনক ভোটার’চিহ্নিত করা হবে। তারপর সীমান্তের ওপারে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা হবে। বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি বলা বিজেপি-আরএসএস’র রাজনীতি। নির্বাচনের কমিশনের মনোভাবে সে রাজনীতির প্রতিফলন রয়েছে। পশ্চিমবাংলায় তা হতে দেওয়া যাবে না।
এক প্রশ্নে চক্রবর্তী বলেন, বিদেশি নথিভুক্তি দপ্তর জানিয়েছে যে ৫০০ বাংলাদেশি পাওয়া গিয়েছে। দু’মাস ধরে এত খোঁজাখুঁজির পর ৫০০! ছ’ কোটির বেশি ভোটদাতা রাজ্যে। তা’হলে বাকি নাগরিকদের পরীক্ষা দিতে হবে কেন?
সোমবারই বিহারের এসআইআ এবং ‘ভোটচুরি’-র বিপক্ষে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে মিছিল করেন বিরোধী সাংসদরা। সংসদের অদূরে পরিবহণ ভবনের কাছে আটকানো হয় সেই মিছিল। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। যোগ দেন বামপন্থী সাংসদরাও। এসআইআর বিরোধী মিছিল আটকানোর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দিল্লি পুলিশের সমালোচনা করেন চক্রবর্তী।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে চক্রবর্তী বলেন, ভোটার তালিকায় গোলমালের সুযোগ নিতে মরিয়া তৃণমূ সরকার। সেকারণে কমিশনের নির্দেশ অমান্য করবে, অভিযুক্ত আধিকারিকদের সরাবে না।
Sujan Chakrabarty
কমিশনের মনোভাবে বিজেপি-আরএসএস’র রাজনীতির প্রতিফলন: সুজন চক্রবর্তী
×
Comments :0