জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের দেখানোয় শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে তামিলনাডুকে। নতুন আসন পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনা চালু হলে আরও কমবে রাজ্যের সাংসদ সংখ্যা। কেন্দ্রের আসন পুনর্বিন্যাসের বিপক্ষে প্রস্তাব পাশ করিয়ে বিধানসভায় এই মর্মে ভাষণ দিলেন তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।
বুধবার তামিলনাডু বিধানসভায় পাশ হয়েছে নতুন জনগণনার ভিত্তিতে আসন পুনর্বিন্যাসের বিপক্ষে প্রস্তাব। পাশ হয়েছে ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিরোধী প্রস্তাবও। স্ট্যালিন বলেছেন, ‘‘ভারতের মতো বৈচিত্রময় দেশে সব ভোট একসঙ্গে করাতে বাধ্য করা যায় না। গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণের নীতি ভেঙে ফেলা হয়।’’
লক্ষ্যণীয়, রাজ্যের বিরোধী এডিএমকে আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত প্রস্তাবে সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এমনকি বিজেপি’র বিধায়ক ভি শ্রীনিবাসনও সমর্থন জানিয়েছেন স্ট্যালিনকে। তবে ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিরোধী প্রস্তাবকে সমর্থন করেননি তিনি।
২০২১ সালেই হওয়ার কথা ছিল জনগণনা। কিন্তু কেন্দ্র এই প্রক্রিয়া আটকে রেখেছে। আবার আসন পুনর্বিন্যাস বা ডিলিমিটেশন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চালু করার কথা বলেছে। নতুন জনগণনার ভিত্তিতেই হবে আসন পুনর্বিন্যাস। সেক্ষেত্রে কেবল জনসংখ্যাই ভিত্তি ধরা হয়েছে।
স্ট্যালিনের ব্যাখ্যা, ‘‘১৯৭১ সালে তামিলনাডু এবং বিহারের জনসংখ্যা প্রায় এক ছিল। কিন্তু পাঁচ দশকে বিহারের জনসংখ্যা তামিলনাডুর দেড়গুন হয়েছে। কারণ তামিলনাডু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখিয়েছে। আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া এই সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতে হবে। তার বদলে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে তামিলনাডুর মতো রাজ্যগুলিকে, যারা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। তামিলনাডুর সাংসদের সংখ্যা এখন ৩৯। তাকে আরও কমিয়ে দেওয়া হবে। আমরা কি ভিক্ষা করব?’’
বিভিন্ন অংশের বক্তব্য, হিন্দি বলয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার তুলনামূলক বিচারে বেশি। সেই তথ্য সামনে আনতে না চাওয়ায় জনগণনা চেপে দেওয়া হয়েছে। অর্থ কমিশনের বরাদ্দেও বঞ্চিত হয়েছে তামিলনাডু, কেরালার মতো রাজ্য। যেখানে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্যণীয় সাফল্য রয়েছে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সেই প্রসঙ্গে এর আগে সরব হন।
TAMILNADU RESOLUTION DELIMITATION
আসন পুনর্বিন্যাস, ‘এক দেশ এক ভোট’ বিরোধী দুই প্রস্তাব পাশ তামিলনাডুতে
×
Comments :0