যার অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার হচ্ছে সেই দর্শন হীরানন্দানিকেই জেরা করেনি সংসদের এথিক্স কমিটি। অভিযোগ যার ভিত্তিতে সেই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বলতে দিতে হবে অন্তত সাত মিনিট। লোকসভায় টাকার বিনিময় প্রশ্ন কান্ডে েথিক্স কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনায় এই দাবি তুললেন বিরোধী সাংসদরা।
সাংসদদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ ওম বিড়লা টেনে আনেন ২০০৫ সালের ঘটনা। তিনি বলেন, ‘‘প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চ্যাটার্জি কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দশজন সাংসদের সাংসদ পদ খারিজ করেন। অভিযুক্তদের বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। যেদিন রিপোর্ট পেশ করা হয়, সেদিনই তাদের শাস্তি দেওয়া হয়।’’ অধ্যক্ষের এই মন্তব্যের পাল্টা কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি বলেন, ‘‘কোবরা পোস্টের স্টিং অপারেশনে স্পষ্ট দেখা যায় যে সাংসদরা টাকা নিচ্ছেন। যেই সাংবাদিকরা এই কাজটি করেন তাদের কমিটি ডেকে সাক্ষ্য নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেন।’’
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে একাধিক তৃণমূল সাংসদকে টাকা নিতে দেখা যায়। নারদা স্টিং অপারেশনের পরিপ্রেক্ষিতে লালকৃষ্ণ আডবানির নেতৃত্বে এথিক্স কমিটি গঠন করা হলেও তার একটিও বৈঠক হয়নি।
শুরুতেই অধীর দাবি করেন তিন চারদিন পর বিষয়টি নিয়ে সংসদের আলোচনা করার। অধ্যক্ষ সেই প্রস্তাব মানেননি।
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, ‘‘অভিযুক্তের কথা না শুনলে কোন ভাবে ন্যায় বিচার করা যায় না। যিনি অভিযোগ করেছেন সেই ব্যাবসায়ী হীরানন্দানির সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। তার একটি হলফনামার ভিত্তিতে মহুয়া মৈত্রের বিচার করা হচ্ছে।’’
Comments :0