জামিরুল শেখ কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। মামলাকারী জামিরুল শেখের তরফে আইনজীবী শামিম আহমেদ এবং আইনজীবী অর্ক মাইতি আদালতের সামনে তুলে ধরেন, ২০১৯-২০, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ আর্থিক বছরে অর্জুনপুর পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ, রাস্তা তৈরি, বাঁধ নির্মাণের মতো প্রকল্পে আর্থিক তছরুপ হয়েছে। মোট টাকার পরিমাণ কয়েক কোটি।
আবেদনকারীর দাবি, ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য সহ ফারাক্কা ব্লকের বিডিওকে ডেপুটেশন দেন অর্জুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। অভিযোগ, জেলা এবং ব্লক প্রশাসনের সর্বস্তরে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যাবস্থাই নেওয়া হয়নি।
এরপর হাইকোর্ট মামলাকারীকে নির্দেশ দেন, এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিয়ে মুর্শিদাবাদের জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানাতে। অভিযোগ পাওয়ার পরে জেলা শাসককে তদন্ত করারও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে হাইকোর্ট জানায়, পিটিশন জমা পড়ার তিন মাসের মধ্যে গোটা বিষয়টি শেষ করতে হবে জেলা প্রশাসনকে।
অভিযোগ, এর পরেও তদন্তের ক্ষেত্রে ঢিলেমি দেখাচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। ৩ মাস পেরিয়ে ৬ মাস হতে চললেও এখনও অর্জুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্তই শুরু হয় নি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার তিন সদস্যের একটি দলের অর্জুনপুরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি পিছিয়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, ৫ জুন তদন্ত করতে যাবে জেলা প্রশাসনের ৩ সদস্যের দল।
কিন্তু আদালতের নির্দেশের পরেও এত দেরি হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের তরফে।
অপরদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধান ওয়াহিদা খাতুন জানিয়েছেন, কাজ করলেই সমালোচনা হয়। তিনি কাজ করেছেন, তাই তাঁর নামে কুৎসা করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, তিনি সমস্ত তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।
Comments :0