‘নিট’ দুর্নীতির অভিযোগে সরব হচ্ছে দেশ। বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই উঠছে অভিযোগ। সোশাল মিডিয়ায় সরব হচ্ছে পরীক্ষার্থীদেরও অনেকে।
সোমবার দিল্লিতে শিক্ষামন্ত্রকের সামনে ‘নিট’ দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি, কেন্দ্রের যে সংস্থা পরীক্ষা এবং ফল প্রকাশের দায়িত্বে, তার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানান ছাত্রছাত্রীরা।
দুর্নীতির অভিযোগ বাড়তে থাকায় শিক্ষা মন্ত্রক চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের দাবিতে সরব ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার, ১১ জুন, কলকাতায় বিক্ষোভ মিছিল করবে এসএফআই।
প্রশ্ন উঠছে, আগের বার মাত্র দুই ছাত্র পুরো ৭২০ নম্বর পেয়েছিল। এবার পুরো নম্বর পেয়েছে এমন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা লাফিয়ে ৬৭ হয়ে গেল কিভাবে?
পরীক্ষার ফল জানানোর কথা ছিল ১৪ জুন। আচমকা ৪ জুন ফল প্রকাশ করেই বা দেওয়া হলো কেন?
কারও কারও নম্বর এসেছে ৭১৯, ৭১৮। কিন্তু পরীক্ষায় নম্বর দেওয়ার নিয়ম এমন যে এই মার্কস সম্ভব নয়। সর্বোচ্চ ৭২০ হতে পারে। সঠিক উত্তরে ‘৪’, ভুল হলে ‘১’ নম্বর কাটা যাবে, এই নিয়মে ৭১৭, ৭১৮ বা ৭১৯ নম্বর কারও হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
মেডিক্যাল প্রবেশিকা ‘নিট’-এ এবার অংশ নিয়েছে ২৩.৩ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। ‘নিট’ জানিয়েছে যে যে পরীক্ষাকেন্দ্রে দেরিতে প্রশ্নপত্র পৌঁছেছে তার ছাত্রছাত্রীদের ‘গ্রেস’ নম্বর দেওয়া হয়েছে। এই বিধি কোথায় রয়েছে, প্রশ্ন তা নিয়ে। ৬টি কেন্দ্রের ১৫৬৩ পরীক্ষার্থী সুবিধা পেয়েছে বলে জানাচ্ছে এনটিএ।
একাংশ বলছেন, ইংরেজি প্রশ্নপত্র হিন্দি মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয়েছে বলে দেরি। তা পুষিয়ে দিতে কাউকে কাউকে ‘১০০’ নম্বর গ্রেস দেওয়া হয়েছে! কিন্তু আসলে এই ভুল শুধরে নিতে কতটা সময় লেগেছিল। কয়েক সেকেন্ডেই তা বোঝা যায়। তা’হলে গ্রেস মার্কস দেওয়ার জন্য কি ‘দেরি’ করা হয়েছিল?
রাজস্থানের সোয়াই মাধোপুর কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী এক ছাত্রী জানিয়েছে, ৫ মে দুপুর ২টোয় পরীক্ষা শুরু হয়। দেখা যায় হিন্দি এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই রয়েছে প্রশ্ন। দশ মিনিট পরে হঠাৎ জানানো হয় নতুন প্রশ্নপত্র আসবে। আগেরটা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু ওএমআর শিট বদলানো হয়নি। পরীক্ষার্থীরা আপত্তি জানায়। এক শিক্ষক বলেন যে এনটিএ’র সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে।
লক্ষ্ণৌয়ের এক ছাত্রী জানিয়েছে ফল প্রকাশের দিন নম্বর জানতে পারেনি। পরের দিন ই-মেল করে জানানো হয় তার ওএমআর শিটে গন্ডগোল রয়েছে।
সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষায় এত গরমিল চলে কী ক’রে, ক্ষোভ সর্বত্র।
Comments :0