PARIS UNREST

পুলিশের গুলিতে নিহত কিশোর, জ্বলছে প্যারিস

আন্তর্জাতিক

PARIS UNREST অশান্ত প্যারিস। ছবি সোশাল মিডিয়া থেকে।

ট্রাফিল সিগনালে এক কিশোরকে গুলি করে খুন করেছে পুলিশ। প্রতিবাদে জ্বলছে প্যারিস। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বহু জায়গায় পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। নিহত কিশোর অভিবাসী পরিবারের সন্তান বলে জানা গিয়েছে। 

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের শহরতলি এলাকা ন্যানতেরে। ফরাসী সংবাদমাধ্যমের বিবরণ অনুযায়ী, এই এলাকায় একটি ট্র্যাফিক সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির ভেতর গুলি চালায় পুলিশ। চালকের আসনে ছিল সতেরো বছরের কিশোর নাহেল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।

 

খবর ছড়াতেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে থাকে প্যারিসের বহু জায়গায়। পরপর দু’দিন ধরে চলছে বিক্ষোভ।

প্রতিবাদের তীব্রতায় বিবৃতি দিতে বাধ্য হন ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রঁ। তিনি বলেছেন, ‘‘পুলিশের এই আচরণের কোনও ব্যাখ্যা নেই, কোনও ব্যাখ্যা থাকতে পারে না।’’ জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিককে আটক করা হয়েছে। পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, গাড়িটি নির্দেশ না মেনে চলছিল। থামতে বলা হলেও থামেনি। ট্র্যাফিক সিগনালে আটকে যায়।’’ 

ফ্রান্সে ক্ষুব্ধ জনতা প্রশ্ন তুলেছে কোন কারণে আটকে পড়া গাড়িতে নিরস্ত্র তিনজনকে গুলি করতে হলো পুলিশকে। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে ফ্রান্সের এক সাংবাদিক রোখায়া দিয়াল্লো বলেছেন, ‘‘বারবার অভিবাসী পরিবারগুলির কমবয়সী ছেলেমেয়েরা পুলিশের আক্রমণের লক্ষ্য হচ্ছে। যাঁরা মনে করেন ফ্রান্সে বর্ণবিদ্বেষ নেই, তাঁরা কিছুই জানেন না।’’ 

আলজেরিয়ার মতো আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ, ক্যারিবিয়ান এবং এশিয়া থেকে বহু অভিবাসী দীর্ঘসময় ধরে ফ্রান্সের বাসিন্দা। এর মধ্যে বেশ কিছু এলাকা বছরের পর বছর দখল করে রেখেছিল ফ্রান্স, উপনিবেশ ছিল। 

ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে। তিনি বলেছেন, ‘‘দেশের এই অবস্থা মেনে নেওয়া কষ্টকর। প্রিয় ফ্রান্সের ক্ষতি হচ্ছে।’’ 

ভারতীয় সময়ে বৃহস্পতিবার রাতেও প্যারিসের বহু জায়গায় পুলিশকে দাঙ্গারোধী বর্ম পরে জনতাকে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট ছুঁড়তে হচ্ছে। কোথাও কোথাও জনতা আবার পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ছে। রাস্তার পাশে গাড়ি, দোকানে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে নামানো হয়েছে আধা সামরিক বাহিনীকেও। 

নানতেরেতে এদিন নাহেলের দেহ নিয়ে শোক মিছিলে ভিড় ভেঙে পড়ে। সেই মিছিলে নেতৃত্ব দেন নাহেলের মা নিজে। স্লোগান তুলেছেন ‘বিচার চাই’। 

Comments :0

Login to leave a comment