ইথিওপিয়া এবং সোমালিয়া থেকে শরণার্থীদের ঢল নেমেছে কেনিয়ায়। উত্তর পূর্ব কেনিয়ার দাডাব অঞ্চলে ইতিমধ্যেই আশ্রয় নিয়েছেন ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবা ছাড়াই দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এছাড়াও কেনিয়া, ইথিওপিয়া এবং সোমালিয়ার ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষের অবিলম্বে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। বুধবার এমনটাই জানান রাষ্ট্রসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক দপ্তরের হাই কমিশনার।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে জানানো হয়, গত দুই বছর ধরে শরণার্থীদের ঢল নেমে চলেছে কেনিয়ায়। ইথিওপিয়া এবং সোমালিয়া জুড়ে চলা গৃহযুদ্ধ এবং অনাবৃষ্টিকে শরণার্থী সমস্যার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে নতুন করে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন কেনিয়ায়।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের বক্তব্য, কেনিয়ার স্থানীয় জনজাতিগুলি শরণার্থীদের থাকার জন্য জায়গার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, খাবার ভাগ করে খাচ্ছে। কিন্তু সেই সাহায্যের পরিমাণও অফুরন্ত নয়। কারণ অর্থনৈতিক ভাবে কেনিয়ার উত্তর পূর্ব অঞ্চল খুব একটা সম্পদশালী নয়। খাদ্যের জোগানের পরিমাণ অপ্রতুল। তারফলে পরিশ্রুত পানীয় জল, শৌচালয়, নিকাশি, স্বাস্থ্যের মতো অতি প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ছাড়াই দিন কাটাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। এর ফলে অক্টোবরের শেষে এই শরণার্থী শিবিরগুলিতে কলেরার প্রকোপ দেখা যায়। রাষ্ট্রসঙ্ঘের হিসেবে কলেরা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০’র বেশি।
Comments :0