লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সমস্ত ধরনের সমীক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এক নির্দেশিকায় কমিশন জানিয়েছে, ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত বুথ ফেরত সমীক্ষা সহ কোনও ধরনের ভোট সমীক্ষা প্রকাশ করা যাবে না। ১ জুন ভোটগ্রহণ শেষ হচ্ছে। সেইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পরে সমীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারবে সংবাদমাধ্যমগুলি।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে হয় ‘ওপিনিয়ন পোল’ বা জনমত সমীক্ষা এবং ভোট গ্রহণের পরে হয় ‘এক্সিট পোল’ বা বুথফেরত সমীক্ষা। নির্বাচন চলাকালীন এই সমীক্ষাগুলির মাধ্যমে জনমত প্রভাবিত হওয়ার বহু অভিযোগ সামনে এসেছে। নির্বাচন চলাকালীন ওই সব মতামত প্রকাশ হলে ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন বলে ধারণা অনেকের। তাই নির্বাচন কমিশনের তরফে ধারাবাহিক ভাবে, ভোট প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেলে সমীক্ষা প্রকাশে নিষেধ করেছে। প্রতি বারের মতো এ বারেও সমীক্ষার ফল প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চাপাল কমিশন। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরুর দিন থেকে শেষের দিন পর্যন্ত ওই নির্দেশ বলবৎ থাকবে।
বিরোধীদের দাবি, বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে অধিকাংশ সর্বভারতীয় চ্যানেলকে পকেটে পুরে ফেলেছে বিজেপি। রাজনৈতিক বাস্তবতা না থাকলেও এই চ্যানেলগুলিতে দেখানো সমীক্ষায় সবসময় বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হয়। গত ১০ বছরে এর অন্যথা হয়নি। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর মুখে একদফা সমীক্ষা দেখিয়েছে চ্যানেলগুলি। সেখানে দেখানো হয়েছে অমিত শাহ’র দাবি মতোই আসন পেতে চলেছে বিজেপি।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই চ্যানেলগুলির সমীক্ষায় বিজেপির প্রচারে বলা সংখ্যার কাছাকাছি আসন দেওয়া হয় বিজেপিকে। তারপর বিজপির তরফে সেই সংখ্যা দেখিয়ে দাবি করা হয়, তাঁরা এই সংখ্যক আসন পেতে চলেছে। এই ধরণের সমীক্ষাগুলির মাধ্যমে বিজেপির রাজনৈতিক দাবিকে মান্যতা দেয় চ্যানেলগুলি।
Comments :0