বৃহস্পতিবার মলডোভায় অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় পলিটিক্যাল কমিউনিটি সামিটে অংশ নিয়ে ভুসিচ জানান, অবৈধ দখলদারদের ক্ষমতা থেকে হঠানোই হবে সমস্যা সমাধানের পথে সব থেকে শক্তিশালী পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসে উত্তর কসোভোর পৌর নির্বাচন বয়কট করেন কসোভোয় বসবাসকারী সার্বিয়ান জনগোষ্ঠী। এরফলে সার্বিয়ান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলেও ক্ষমতা দখল করেন আলবানিয়ানরা। এরপর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
অপরদিকে কসোভোর রাষ্ট্রপতি জোসা ওসমানি অভিযোগ করেন, উত্তর কসোভোয় ইচ্ছাকৃত ভাবে প্ররোচনা সৃষ্টি করছে সার্বিয়া। তাঁর অভিযোগ, সার্বিয়া মেনে নিতে পারছে না যে কসোভো এখন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। তারফলেই ধারাবাহিক ভাবে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে চলেছেন সার্বিয়ানরা।
২০০৮ সালে সার্বিয়ার থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে সে দেশের দক্ষিণে অবস্থিত আলবানিয়ান মুসলিম জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত কসোভো। সার্বিয়া আলাদা দেশ হিসেবে কসোভো’র অস্তিত্ব মেনে না নিলেও আন্তর্জাতিক মহল কসোভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়েছে। অপরদিকে সারা কসোভোয় সংখ্যালঘু হলেও উত্তর কসোভোয় সংখ্যা গরিষ্ঠ সার্বিয়ান জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীর অভিযোগ, তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই এপ্রিলের নির্বাচন বয়কট করেন তাঁরা।
কসোভোয় শান্তি রক্ষার জন্য মোতায়েন রয়েছে ৪ হাজার ন্যাটো জওয়ান। বৃহস্পতিবার ন্যাটোর সচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামলাতে আরও ৭০০ শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হবে কসোভোতে।
Comments :0