JNU ELECTION

জেএনইউ'র কেন্দ্রীয় প্যানেলে ৪-০ ব্যবধানে জিতলেন বামপন্থী ছাত্ররা

জাতীয়

SFI JNU ABVP BENGALI NEWS

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে  জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিপুল জয় পেল বামপন্থী ছাত্রদের জোট। এবিভিপি’র চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই কেন্দ্রীয় প্যানেলের ৪টি আসনেই জয় ছিনিয়ে নিল বামজোট।  

সভাপতি পদে বামপন্থী জোটের প্রার্থী ধনঞ্জয় ৩১০০টি ভোট পেয়েছেন। এবিভিপি প্রার্থী উমেশ চন্দ্র আজমিরা পেয়েছেন ২১১৮টি ভোট। সহ-সভাপতি পদে বামপন্থী জোটের প্রার্থী অভিজিৎ ঘোষ পেয়েছেন ২৭৬২টি ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী এবিভিপি প্রার্থী দীপিকা শর্মা পেয়েছেন ১৮৪৮টি ভোট। 

সাধারণ সম্পাদক পদে বাম সমর্থিত বাপসা প্রার্থী প্রিয়াংশী আর্যা পেয়েছেন ৩৪৪০টি ভোট। এবিভিপি প্রার্থী অর্জুন আনন্দ পেয়েছেন ২৪১২ ভোট। 

লোকসভা নির্বাচনের আগে জেএনইউ ছাত্র সংসদের দখল পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। নির্বাচনের দিন সাধারণ সম্পাদক পদে বামপন্থী জোটের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। সেই মুহূর্তে এসএফআই সহ বামপন্থীরা সিদ্ধান্ত নেন, এই আসনে বাপসা প্রার্থীকে সমর্থন জানানো হবে। 

কেন্দ্রীয় প্যানেলের ৪টি আসনের মধ্যে মাত্র ১টিতে  দীর্ঘক্ষণ এগিয়ে থাকার পরে পিছিয়ে যায় এবিভিপি। যুগ্ম সম্পাদক পদে এবিভিপি প্রার্থী গোবিন্দ দাঙ্গি পেয়েছেন ২৫৯১টি ভোট। তাকে পিছনে ফেলে দিয়ে বাম জোটের প্রার্থী মহম্মদ সাজিদ পেয়েছেন ৩০৩৫টি ভোট। 

এসএফআই জানিয়েছে, গণনার শুরুতে ৪টি আসনেই বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন এবিভিপি প্রার্থীরা। কিন্তু জেএনইউ’র সাধারণ পড়ুয়াদের উপর ভরসা রেখে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গণনার কাজে অংশগ্রহণ চালিয়ে যান এসএফআই সহ বামপন্থী সংগঠনগুলির কর্মী সমর্থকরা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হচ্ছে, ফের একবার বামপন্থীদের হাতেই জেএনইউ’র ছাত্র সংসদের ভার তুলে দিতে মনস্থির করেছেন সাধারণ পড়ুয়ারা।

জেএনইউ’র নির্বাচনে বামপন্থীদের পরাজিত করাকে নিজেদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কাজ হিসেবে মনে করে আরএসএস। এবারেও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বামমনষ্ক পড়ুয়াদের উপর হামলা চালায় এবিভিপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। এসএফআই’র অভিযোগ, সব দেখেও চোখ বন্ধ করে ছিল দিল্লি পুলিশ। যেই পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র দপ্তরের হাতে। জেএনইউ’র নির্বাচনের ঠিক আগে ‘জেএনইউ’ নামে একটি সিনেমাও মুক্তি পায়। সেখানে দক্ষিণপন্থীদের বলা বামপন্থা বিরোধী ভাষ্য ঠাঁই পেয়েছে সিনেমার চরিত্রদের মুখে। সিনেমার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের সম্পর্কে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বামপন্থীদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ পড়ুয়া। 

Comments :0

Login to leave a comment