Post Editorial

আজকের পৃথিবীতে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার সক্ষমতা প্রসঙ্গে

উত্তর সম্পাদকীয়​

সাত্যকি রায়


গত প্রায় পাঁচ দশক ধরে পৃথিবীর যে ছবিটি নয়া উদারবাদ বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পেরেছিল তা হলো একটি বিশ্ব-গ্রামের ছবি। এই আখ্যানে আপাত দৃষ্টিতে কোনও ক্ষমতার আস্ফালন নেই, মুক্ত বাণিজ্য ও সমানে-সমানে বিনিময়ের উপরে প্রতিষ্ঠিত বাজার ব্যবস্থা এই ছবির কেন্দ্রে। পৃথিবী যেখানে সমতল-আধিপত্য যেন অচেনা শব্দ। অনেকে বলা শুরু করেছিলেন সাম্রাজ্যবাদ আসলে একটি সেকেলে ধারণা, আজকের পৃথিবীতে এর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। বিস্তৃত বাজার আর প্রতিযোগিতাই বিভিন্ন দেশের মধ্যে অথবা মানুষের মধ্যেকার সম্পর্ককে নিয়ন্ত্রণ করে— এখানে দমন বা যুদ্ধের কোনও স্থান নেই। পশ্চিমে মার্কসবাদীদের একাংশ মনে করেছিলেন যে আধিপত্য আজ এক রাষ্ট্রবিহীন বিমূর্ত চেহারা ধারণ করেছে। এটাই আজকের পৃথিবীর ‘এম্পায়ার’ যার কোনও রাষ্ট্রীয় খুঁটি নেই, পুঁজিও ক্ষমতার এক বিমূর্ত সংশ্লেষ, যেখানে আধিপত্যের কোনও দেশ নেই কোনও জাত নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প পৃথিবীর এই ছবিটিকে ভেঙে খানখান করে দিয়েছেন। পশ্চিমী চিন্তার অনুগামী অথচ অনুন্নত দেশে অবস্থিত পণ্ডিত বর্গের মুক্ত বাজারের উপাসনা শুধুমাত্র ক্ষমতার অলিন্দে ঘটেছিল তা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেও তার গভীর প্রভাব তৈরি হয়েছিল। মুক্ত বাজার ও তার মধ্যে দিয়ে রসদের যথাযথ বণ্টন অর্থনৈতিক তত্ত্বের প্রাণ কেন্দ্র দখল করেছিল। রাষ্ট্রের মূল মন্ত্র হয়ে উঠেছিল বাজারকে সমস্ত ধরনের বাঁধন থেকে মুক্ত করা। ট্রাম্প পরবর্তী পৃথিবীতে এই ছবিটা ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করেছে। দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণও তার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রাচীর তৈরি করা, শিল্প সম্পর্কিত নীতি গ্রহণ করা, বহুমাত্রিক বাণিজ্যের সমস্ত ধরনের মঞ্চগুলিকে নস্যাৎ করে দিয়ে দেশগুলির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রাধান্য এটাই আজকের পৃথিবীর অর্থনৈতিক সম্পর্কের প্রধান প্রবণতা। ট্রাম্পের জমানা যেন সোজাসাপ্টা করে বলে দিচ্ছে— বাজার মুক্ত হবে না। হবে না, মুক্ত বাণিজ্যের মধ্যে দিয়ে সবার উন্নতি হবে কি হবে না এটা ঠিক করব আমরা, যারা শক্তিধর সাম্রাজ্যবাদী দেশ। যত দিন এই মুক্ত বাণিজ্যের তত্ত্ব ধনী দেশগুলির স্বার্থ রক্ষা করেছে, যত দিন তা বিশ্ব কর্পোরেট সংস্থা ও মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের কাজে লেগেছে ততদিনই বাজার মুক্ত থাকা দরকার ছিল। আর যখনই এই মুক্ত বাজার ও উদার ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশের মধ্যে পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলির বিশ্ব অর্থনীতিতে  অংশীদারত্ব বাড়তে শুরু করল তখনই শিরে সংক্রান্তি। এবার ওই নিয়মকে ভেঙে দিতে হবে, লুকিয়ে চুরিয়ে নয় একেবারে ঘোষণা করে। আর সেই অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলির নীতি নির্ধারক বিশিষ্টদের ও মূলধারার অর্থনীতিবিদদের নতুন করে গলা সাধতে হবে, আয়ত্ত করতে হবে আর্থিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করার নতুন ভাষ্য।
ট্রাম্প এমন একটা ভাব করছেন যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই গত তিন দশক ধরে উন্নয়নশীল দেশগুলি উদারীকরণের সুযোগ নিয়ে লুটে নিয়েছে। তাদের দেশের বাণিজ্য ঘাটটির জন্য দায়ী চীন ভারত সহ উন্নয়নশীল দেশগুলি। এই সমস্ত দেশগুলি তাদের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে এবং মার্কিন বাজারে তা রপ্তানি করে আর্থিক বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ চীনের বিরুদ্ধে। অথচ প্রকৃত সত্য হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদনে পৃথিবীতে প্রথম ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আজকে চীন সেই স্থান দখল করেছে। উদারীকরণের সুযোগ নিয়ে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলি সস্তা শ্রম ও প্রাকৃতিক সম্পদের লোভে উৎপাদন স্থানান্তরিত করেছিল পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে। এই স্থানান্তরের মধ্যে দিয়ে কর্পোরেট পুঁজি বিপুল পরিমাণ লাভ করে। কিন্তু একইসাথে শিল্পক্ষেত্রের ভূগোল বদলে যায়। উৎপাদনে মার্কিন আধিপত্য ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে এবং তা স্থানান্তরিত হয় উন্নয়নশীল দেশগুলিতে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সুবিধা হলো ডলার আন্তর্জাতিক বিনিময় মুদ্রা যা একই সাথে তাদের দেশেরও মুদ্রা। অন্য দেশকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংগ্রহ করতে হলে রপ্তানির মধ্যে দিয়েই তা করতে হবে অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডলার ছাপিয়েই সে কাজ করতে পারে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা হওয়ার কারণে ডলারে নির্ধারিত সম্পদ আন্তর্জাতিক বাজারে নির্ভরযোগ্য মনে করা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কর্পোরেট সংস্থাগুলি অর্জিত মুনাফা এবং বিভিন্ন দেশের বাণিজ্য উদ্বৃত্তর মধ্যে দিয়ে অর্জিত ডলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডলার নির্ধারিত সম্পদে বিনিয়োগ করা হয়। সে কারণেই উৎপাদন স্থানান্তরিত হলেও আমেরিকা পৃথিবীর ফিনান্সসিয়াল কেন্দ্র হিসাবে তার অবস্থানকে বজায় রাখতে পেরেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা আর্থিক সম্পদ বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির খরচ জুগিয়েছে। অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ জমা হওয়া ফিন্যান্স পুঁজি ব্যবহার করে ফাটকা কারবারের মধ্যে দিয়ে মুনাফার পাহাড় তৈরি করতে পেরেছে আর্থিক সম্পদের মালিকরা। এই বিশেষ অবস্থান সম্ভব হওয়ার একমাত্র কারণ হলো ডলার আজও আন্তর্জাতিক মুদ্রা। এই কারণেই চীন, ভারত, রাশিয়া সহ বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলি যত নিজেদের মুদ্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য করবে ততই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আতঙ্ক বাড়তে থাকবে। আজকে আমেরিকা সঙ্কটের সম্মুখীন। বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি সামাল দেওয়া ততক্ষণই সম্ভব যতক্ষণ পর্যন্ত পৃথিবীর অর্থনীতিতে মার্কিন অর্থনীতির গুরুত্ব স্থায়ী থাকবে এবং ডলার-আধিপত্য বজায় থাকবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব কমতে শুরু করেছে। ব্রিকস ও তার সহযোগী দেশগুলি মিলিয়ে পৃথিবীর জিডিপি’র চল্লিশ শতাংশ অধিকার করেছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। আমেরিকার যত খারাপই লাগুক একবিংশ শতাব্দীতে মার্কিন অর্থনীতির চ্যালেঞ্জার হিসাবে উঠে এসেছে চীন, সত্য এটাও যে এই মুহূর্তে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। সমস্যার উৎস এখানেই। তাই পৃথিবীর বাণিজ্যও আর্থিক সম্পর্কের প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মগুলিকে ওলট পালট করে দিতে হবে। তৈরি করতে হবে আধিপত্যের নতুন ইমারত।
বিভিন্ন দেশের বাজার খুলে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে চলেছে ট্রাম্প। ব্রিটেন, জাপান সহ একের পর এক দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করে ঐ সমস্ত দেশের বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির জন্য উন্মুক্ত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে কৃষি পণ্যের বাজার উন্মুক্ত করার জন্য। আমাদের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে সমস্ত কৃষি পণ্য রপ্তানি করে থাকে তা হলো বাসমতি ও অন্যান্য চাল, প্রাকৃতিক মধু, চিংড়িমাছ, সবজির নির্যাস, প্রসেসড ফুড ইত্যাদি। এগুলো বেশিরভাগই শ্রমনিবিড় উৎপাদন। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমরা আমদানি করি আমন্ড, তুলো, সয়াবিন তেল, পেস্তাবাদাম ইত্যাদি। এছাড়াও ভারত দুগ্ধজাত জিনিস উৎপাদনে পৃথিবীতে প্রথম স্থান অধিকার করে। এই সমস্ত উৎপাদনের বেশিরভাগই হয়ে থাকে বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্প ও কো-অপারেটিভ সংস্থাগুলির মধ্যে দিয়ে। আমেরিকার বৃহৎ কর্পোরেট সংস্থাগুলি তাক করে আছে কৃষি ও দুগ্ধজাত জিনিসের ভারতীয় বাজারের দিকে। সর্বোপরি তারা চেষ্টা করবে জেনেটিক্যালি মডিফাইড ভুট্টা ও সয়াবিন ভারতের বাজারে বিপুল পরিমাণে ঢোকাতে। আমাদের দেশের ৪৪ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান কৃষি ও তার সহযোগী ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। ফলে কোনও সরকারের পক্ষেই এই বিপুল সংখ্যক মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেওয়া কঠিন। আমেরিকা রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম, প্যালাডিয়াম, সার, রাসায়নিক দ্রব্য ইত্যাদি নিয়মিত কিনে থাকে। কিন্তু ভারত রাশিয়া থেকে খনিজ তেল কিনলে তা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন করার শামিল বলে অভিযোগ করা হয়। শুধু তাই নয় ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়িয়ে মার্কিনি অস্ত্র কেনার জন্যও চাপ সৃষ্টি করা হবে।
আমরা বোধ হয় পৃথিবীর একটি নতুন পরিমণ্ডলে প্রবেশ করতে চলেছি। বিশ্বায়িত উৎপাদন ব্যবস্থা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতার জাল বিস্তার করেছিল তা ইচ্ছে করলেই গুটিয়ে দেওয়া যাবে না। অতএব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী দেশগুলি তাদের স্বার্থের উপযোগী একটি বিশ্বব্যবস্থা নির্মাণের উপযোগী নিয়ম কানুন তৈরিতে সচেষ্ট। যারা মুক্ত বাণিজ্যের আড়ালে বৃহৎ পুঁজির কর্তৃত্বকে চিনতে পারেননি তারা হয়ত আজকে আধিপত্যের বিকট রূপ দেখতে পাচ্ছেন। জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয়তাবাদ রাজনীতির প্রাণ কেন্দ্রে স্থাপিত হতে চলেছে। উদারবাদ বিপর্যস্ত কিন্তু তাকে প্রতিস্থাপিত করতে চলেছে নয়া ফ্যাসিবাদে জারিত জাতীয়তাবাদ। ভারত সহ উন্নয়নশীল দেশগুলি মার্কিন কর্তৃত্বের নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। প্রায় সাড়ে আড়াই দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্ট্রাটেজিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিল ভারত। মোদী ও ট্রাম্পের বন্ধুত্ব দুই দেশের নির্বাচনী প্রচারকেও মাতিয়ে তুলেছিল। বৃহৎ শক্তির কাছাকাছি এসে বৃহৎ সংস্থার ছোট শরিক হয়ে কিছুটা বেশি পাওয়ার আশায় যারা বুক বেঁধেছিল তারা আজ হতবাক।
একথা অবশ্যই ঠিক যে আজকের পৃথিবীতে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক লক্ষ্য হিসাবে উপস্থিত হবে। অতীতে বিভিন্ন সময় আমাদের দেশের মানুষ এক হয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলা করেছে। কিন্ত এক্ষেত্রে আজকের সময়ে আশঙ্কার বিষয় হলো জাতীয়তাবাদের ধারণার পরিবর্তন। আমাদের দেশের জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতার মধ্য দিয়ে যা বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন বর্ণের বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে এক করে ভারতীয়ত্বের ধারণার জন্ম দিয়েছিল। মুশকিল হলো যারা আজকে ক্ষমতার কেন্দ্রে সেই রাজনৈতিক শক্তি দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শামিল হয়নি। তারা হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করার লক্ষ্যে দেশের নাগরিকদেরই একাংশকে বিদেশিদের চেয়েও বড় শত্রু মনে করেছিল। তাদের রাজনীতি আবর্তিত হয়ে থাকে ধর্মীয় মেরুকরণের মধ্যে দিয়ে। যে দেশ আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত, সামরিকভাবে ভারতবর্ষে তুলনায় অনেকই দুর্বল, প্রকৃত অর্থে একটি জাতি-রাষ্ট্র হিসাবে সফলভাবে গড়েই উঠতে পারেনি সেই পাকিস্তানের বিরোধিতাকেই দেশের নতুন জাতীয়তাবাদের ধারণার প্রাণকেন্দ্রে স্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। মনে রাখা দরকার সঙ্ঘ পরিবারের সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদের আসলে কোনও সংঘাত নেই। আমেরিকার বন্ধুও হবো আবার দেশের মানুষের স্বার্থও রক্ষা করব এই দুটি একসাথে চলা আজ অসম্ভব। তাই ট্রাম্প পরবর্তী পৃথিবীতে নতুন পর্যায়ের মার্কিনি আধিপত্যবাদ মোকাবিলা করতে পারবে সেই জাতীয়তাবাদের ধারণা যা মর্মবস্তুর দিক থেকে একান্তভাবে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। দেশের মানুষের স্বার্থে এমন  রাজনৈতিক শক্তিগুলির শক্তিশালী হওয়া আজ অত্যন্ত জরুরি যাদের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতার পরীক্ষিত ঐতিহ্য রয়েছে যারা মানুষের স্বার্থও অধিকারকে শক্তিশালী করতে দায়বদ্ধ। পৃথিবীর সমস্ত বৃহৎ শক্তির আধিপত্যকে প্রতিরোধ করে নিজেদের স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করতে এবং নতুন পৃথিবীর পরিপ্রেক্ষিতে স্বনির্ভরতা ও দেশপ্রেমের সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে তারাই পারবে।

Comments :0

Login to leave a comment