আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চলছে রাজ্য সহ গোটা দেশ ও বিদেশে। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুজোয় রাজ্য সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি। এবার রাজ্য সরকারি অনুদান ফিরিয়ে সেই আন্দোলনে শামিল হল একটি নাট্যদল। প্রতিবাদে স্থগিত করে দেওয়া হল আগামী নাট্যমেলাও।
সংগঠনের তরফে শরদিন্দু চক্রবর্তী বলেন,‘‘সারা দেশজুড়েই একের পর এক নারী নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। এবার আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন করা হল। এই ঘটনার ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসকদল যেভাবে ধর্ষককে আড়াল করার চেষ্টা করছে, যেভাবে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। নিন্দার ভাষা নেই। অনুদান চাইনা, বিচার চাই।’’
তাঁর কথায়, ১৯৯৬ সাল থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে পথে রয়েছে মালদা সমবেত প্রয়াস। এবছরই প্রথমবার আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির আর্থিক অনুদান পেয়েছি নাট্যমেলা আয়োজন করার জন্য। সেই অনুদান আমরা ফিরিয়ে দিলাম। আগামী ৩১ অগাস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর মালদার দুর্গাকিংকর সদনে আমাদের নাট্যমেলা হওয়ার কথা ছিল। জলপাইগুড়ি, রানাঘাট, কোচবিহারের তিনটি নাট্যদল, সঙ্গে আমাদের নিজস্ব প্রযোজনা নিয়ে নাট্যমেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি আজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নৃশংস ধর্ষণ, খুনের প্রতিবাদে ন্যায় বিচারের দাবিতে অগণিত মানুষ পথে নেমে বিক্ষোভে সোচ্চার হয়ে উঠছেন। এই পরিস্থতিতে আমরা মনে করি এই মুহূর্তে যখন পথে পথে মানুষের বিক্ষোভ সংগঠিত হয়ে চলছে নাটক করার বদলে পথে নেমে ওই আন্দোলনে সামিল হওয়াই সঠিক। পথে ঘাটে মানুষের ভিড়ে নাটক দিয়ে প্রতিবাদের সময় এখন। আমরা সে পথেই এগোব। তাই স্থগিত রাখলাম আমাদের নাট্যমেলা। তিনি জানান, চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা নাট্য আকাডেমির সচিবের কাছে পাঠয়ে দিয়েছি।
সংগঠনের কর্মীদের বক্তব্য এই নৃশংস ঘটনায় দোষীদের আড়াল করতে যে সরকার সক্রিয় ভূমিকা নিল, সেই সরকার থেকে প্রাপ্ত পঞ্চাশ হাজার টাকার অনুদান ফিরিয়ে দেওয়া হল। কেন আমরা আর্থিক অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছি তা লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছি। প্রকৃত দোষীদের সনাক্তকরণে এবং ন্যায় বিচারের দাবিতে এই গণআন্দোলনের শরিক হয়েছি আমরাও। এই রকম একটি পরিস্থিতিতে পথে নেমে নাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ চলবে মালদা সমবেত প্রয়াসের। মালদা শহরের এলআইসি মোড়ে আমরা সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ জানাব আগামী ১ সেপ্টেম্বর।
Comments :0