প্রচণ্ড গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। চাহিদা বেড়েছে পানীয় জলের। এই সময় জলের হাহাকার বলাগড়ের সোমড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ২০২৩ সালে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর(পিএইচই) থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়। মাস খানেক ঠিকই ছিল। তারপর থেকে আর জল পাচ্ছেন না গ্রামের মানুষ এমনই অভিযোগ। গ্রামের মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, বলাগড় ব্লকের সোমড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মশড়া গ্রাম সংসদে প্রায় বারোশো ভোটার রয়েছেন। পর্যাপ্ত টিউবওয়েল নেই, পাইপ লাইনের জল বন্ধ, পুকুরের জলের উপর ভরসা করতে হচ্ছে পাঁচশোর বেশি পরিবারকে। তাদের দাবি, দ্রুত সমস্যা মেটানো হোক।
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ২০২৩ সালে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়। কিছুদিন পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা জল পাচ্ছি না দীর্ঘদিন হয়ে গলো। এখন পুকুরের জলে প্রাত্যহিক কাজ, এমনকি রান্নাও করতে হচ্ছে। পঞ্চায়াত থেকে এলাকার পরিস্রুত পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে না। প্রধান থেকে শুরু করে বহু জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। পুকুরের জল খেয়ে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। কবে জল পাব জানি না।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মহামায়া পন্ডিত বলেন মশড়া গ্রামই শুধু নয় পাশাপাশি অনেক গ্রামে একই অবস্থা। পাইপ লাইন মাঝে মাঝে কেটে গেছে। কিছু জায়গায় টুলু পাম্প বসিয়ে জল তুলে নেওয়ায় পাইপ লাইনে জল সরবরাহ ঠিকমত হচ্ছে না। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য গ্রাম থেকে পঞ্চায়েত এ জানানো হয়েছে। কেউ কোন বিষয়ে নজর দেয়না। কলের জলে গন্ধ, তাতে আর্সেনিক আছে কি না জানা নেই। বাধ্য হয়ে পুকুরের জল দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। এই বিষয়ে সিপিআই(এম) হুগলি জেলা কমিটির সদস্য অতনু ঘোষ বলেন, ‘‘এই গরমে মানুষ জল কষ্টে আছে। পুকুরের জল এখন তাদের ভরসা। পঞ্চায়েতকে বারবার জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েত, সমিতি বা জেলা পরিষদ কোনো কাজ করেনি। মানুষের প্রকৃত প্রয়োজনে তাদের নজর নেই। শাসক দল টাকা লুটতে ব্যস্ত।’’
Water Crisis
তীব্র গরমে পুকুরের জলেই ভরসা সোমড়ার গ্রামবাসীদের

×
Comments :0