GERMANY WORKERS STRIKE

রেলশ্রমিক, বিমানবন্দরের কর্মীদের ধর্মঘটে স্তব্ধ জার্মানি

আন্তর্জাতিক

GERMANY WORKERS STRIKE BENGALI NEWS

পরিবহন ধর্মঘটে স্তব্ধ হয়ে গেল জার্মানি। বৃহস্পতিবার সেদেশের রেল শ্রমিক এবং বিমানবন্দর শ্রমিকরা ধর্মঘটে অংশ নেন। তারফলেই একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে যায় জার্মান অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। 

গোটা পশ্চিমী বিশ্বের মতোই গত কয়েক বছরে লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির শিকার জার্মানি। মূল্যবৃদ্ধির ফলে সবথেকে বেশি বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং খাদ্যপণ্যের দাম। কিন্তু সেই অনুমাতে বেতন বাড়েনি অধিকাংশ শ্রমিকের। সবথেকে খারাপ অবস্থা অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের মানুষের। 

এই অবস্থায় দফায় দফায় শিল্প ধর্মঘটের সাক্ষী থেকেছে জার্মানি। বৃহস্পতিবার রেল এবং বিমানবন্দরের শ্রমিকদের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি গণপরিবহন শ্রমিকরাও ধর্মঘটে সামিল হন। 

মূল্যবৃদ্ধি এবং সেই সংলগ্ন মুদ্রাস্ফীতির ফলে জার্মান অর্থনীতি ০.৩ শতাংশ হারে সঙ্কুচিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমাণ, বৃহস্পতিবারের রেল ধর্মঘটের ফলে ১০ কোটি ইউরো ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে জার্মান অর্থনীতি। 

বুধবার সন্ধ্যাবেলা থেকে ধর্মঘট শুরু করেন রেল শ্রমিকরা। ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, পণ্যবাহী রেলচালকরা সবার আগে ধর্মঘট শুরু করেন। পরে তাতে অংশ নেন যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকরাও। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সাম্প্রতিক সময়ে এই নিয়ে পঞ্চমবার ধর্মঘটের পথ বেছে নিলেন জার্মান রেল শ্রমিকরা। শুক্রবার দুপুরবেলা অবধি এই ধর্মঘট চলবে। 

রেল ধর্মঘটের ব্যপক প্রভাব পড়েছে জার্মানি জুড়ে। জার্মান রেল পরিবহন সংস্থা ডয়েশ বাহ্‌ন জানিয়েছে, গড়ে ৫টির মধ্যে ১টি দূরপাল্লার ট্রেন চলছে। শ্রমিকদের বক্তব্য, তাঁদের দাবিকে সমর্থন করে সহমর্মিতা জানাচ্ছেন রেলযাত্রীরা। 

জার্মানির কোলন শহরের রেলস্টেশনে ক্যাটেরিনা স্টেপানেনকো নামে এক যাত্রী রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘রেল ধর্মঘটের ফলে আমার সমস্যা হচ্ছে না বললে মিথ্যা কথা বলা হবে। কিন্তু এই ধর্মঘটের ফলে যদি সমাজে পরবর্তন আসে, মানুষের উপকার হয়, তাহলে সমর্থন করতে অসুবিধা কোথায়?’’

বেতনবৃদ্ধি এবং বেতন কাঠামো সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ২দিনের  ধর্মঘট শুরু করেন জার্মান বিমানসংস্থা লুফথ্যানসা’র গ্রাউন্ড স্টাফ এবং নিরাপত্তারক্ষীরা। রয়টার্স জানাচ্ছে, ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে ধর্মঘটের ফলে ১৭৫০টির মধ্যে ৬৫০টি বিমান বাতিল হয়েছে। ফ্র্যাঙ্কফুর্ট ছাড়াও হ্যামবার্গ এবং ডুসেলডর্ফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে। 

গ্রাউন্ডস্টাফ এবং নিরাপত্তারক্ষীরা যখন ধর্মঘটের পথ বেছে নিয়েছেন, ঠিক তখনই লুফথ্যানসার কেবিন ক্রিউরা ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাকশনের’ পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বুধবার তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাকশনকে ধর্মঘটের আগের ধাপ বলা হয়। 

কেবিন ক্রিউদের সংগঠন ইউএফও জানিয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment