Kasba Rape Case

সোমবার থেকে খুলছে সাউথ ক্যালকাটা ল’কলেজ

রাজ্য কলকাতা

গার্ড রুম এবং ইউনিয়ন রুম বন্ধ রেখে সোমবার থেকে খুলছে সাউথ ক্যালকাটা ল’কলেজ। গতকাল মনোজিৎ সহ তিন অভিযুক্তদের কলেজে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করেন তদন্তকারি আধিকারিকরা। এদিন কলেজ কর্তেপক্ষের তরফ থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া একটি মামলায় আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যের সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে ইউনিয়ন রুম।
মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। একাধিক মামলাও ছিল তার নামে কিন্তু শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের হাত তার মাথায় থাকায় বার বার ছাড়া পেয়েছে ‘ম্যাঙ্গো’। জানা যাচ্ছে ২০০৭ সালে কসবা ল’কলেজে ভর্তি হয় মনোজিৎ। তারপর তার কোর্স শেষ হওয়ার আগেই সে কলেজ ছেড়ে দেয়। তারপর ফের ২০১৭ সালে কলেজে ভর্তি হয়, ২০২২ সালে পাশ হওয়ার পর কলেজ পরিচালন সমিতির অনুমোদনে কলেজে চাকরি পায় মনোজিৎ।
গত ২৫ জুন বুধবার রাতে বিজন সেতুর সামনে সাউথ ক্যালকাটা ল’কলেজে গণধর্ষণের শিকার হয় এক পড়ুয়া। তার অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ওই কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি, বর্তমানে কলেজের অস্থায়ী কর্মী। অভিযোগ সে এবং দুজন ছাত্র এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আলিপুর আদালতে তিনজনকে পেশ করা হলে মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কলেজে যায় জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। অভিযোগ তাদের সাথে সহযোগীতা করেনি কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। উল্লেখ্য শনিবার নির্যাতীতাকে কলেজে নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন তদন্তকারি আধিকারিকরা।
অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। নেতৃত্বে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) প্রদীপকুমার ঘোষাল। প্রথমে পাঁচজনের সিট গঠন করা হলেও রবিবার তার সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আরও চারজন পুলিশ আধিকারিককে সিটে যুক্ত করা হয়েছে।
নির্যাতীতার বয়ান অনুযায়ী গত বুধবার রাতে তাকে মনোজিৎ এবং বাকি দুই অভিযুক্ত ইউনিয়ন রুমে যৌন হেনস্তা করে। তারপর তাকে গার্ড রুমে নিয়ে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। নির্যাতীতাতে তাতে রাজি না হলে তখন তিনজন তাকে দল বেঁধে ধর্ষণ করে এবং গোটা বিষয়টা ভিডিও করে। হুমকি দেয় কোথাও জানালে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ঘটনার পর নির্যাতীতা কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে বৃহস্পতিবার রাতেই আটক করে কসবা থানা। হয়েছে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষাও।

Comments :0

Login to leave a comment