এবার প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ইজরায়েলি বাহিনী জেনিনের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা শুরু করেছে। গত কয়েকদিনে পশ্চিম তীরের অন্তত তিনটি হাসপাতালকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে এবং নার্স, চিকিৎসক ও প্রশাসনিক কর্মীরা আহত হয়। সশস্ত্র বাহিনী হাসপাতালে যাওয়া-আসার পথ বন্ধ করে দেয়, রোগী এবং বাস্তুচ্যুতরা ভয় ও অনিশ্চয়তার মধ্যে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজা উপত্যকার অনেক স্বাস্থ্যকর্মী ইজরায়েলের কারাগারে বন্দি। এদের মধ্যে চিকিৎসক আহমেদ মুহান্না ও হুসাম আবু সাফিয়াকে আল-আওদা হাসপাতাল ও কামাল আদওয়ান হাসপাতাল থেকে আনা হয়েছে। আল-মিজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস ২২ জানুয়ারি সতর্ক করে বলেছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কামাল আদওয়ানে অভিযানের সময় অপহৃত ড. আবু সাফিয়াকে এখনও আইনি পরামর্শের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। অন্তত ফেব্রুয়ারির শুরু পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইজরায়েলের হাতে বন্দি, নির্যাতিত বা নিহত শত শত স্বাস্থ্যকর্মীর অনুপস্থিতি গাজায় গভীরভাবে অনুভূত হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, এই অঞ্চলে কোনও পুরোপুরি কার্যকরী হাসপাতাল নেই এবং ইউনিসেফের অনুমান ৩৬ টি হাসপাতালের অর্ধেকেরও কম আংশিকভাবে চালু রয়েছে। বেঁচে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন এবং তাদের বিশ্রামের নিদারুণ প্রয়োজন।
বর্তমান মূল্যায়ন ইঙ্গিত দেয় যে গাজার জনসংখ্যার প্রায় ২০% এখন স্থায়ী অক্ষমতা নিয়ে বসবাস করছে যাদের দীর্ঘমেয়াদী যত্ন এবং পুনর্বাসন প্রয়োজন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে হাজার হাজার শিশু এক বা একাধিক অঙ্গ হারিয়েছে, একই সময়ে তাদের পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফিজিওথেরাপি পরিষেবাগুলি হ্রাস পেয়েছে।
এই চ্যালেঞ্জগুলির সাথে যুক্ত হয়েছে গাজায় দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক বিপদ। রাষ্ট্রসংঘের অনুমান যে গাজা স্ট্রিপ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা না ফাটা বিস্ফোরক সরাতে প্রায় ১০ বছর এবং অর্ধ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাগবে। এই আসন্ন বিপদগুলি গাজায় ইজরায়েলি হিংসার সত্যিকারের অবসানের যে বাস্তবতা তা থেকে অনেক দূরে।
World
এবার জেনিনের হাসপাতালে বোমা বর্ষণ ইজরায়েলের
×
Comments :0