Saif Ali Khan

সাইফের ওপর আক্রমণকারীকে দেখা গেছে দাদরায়

জাতীয়

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাতকারী যে হামলাকারী মুম্বাইয়ের দাদারের একটি দোকান থেকে হেডফোন কিনে রেলস্টেশনের দিকে হেঁটে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ১৬ জানুয়ারির সিসিটিভি ফুটেজে হামলাকারীকে নীল শার্ট পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়, যা ইঙ্গিত দেয় যে পুলিশের নজরদারি এড়াতে সে তার পোশাক পরিবর্তন করেছে।
সাইফকে ছুরিকাঘাতের রাতে কালো টি-শার্ট পরা অবস্থায় হামলাকারীকে দেখা যায়। ঘটনার একদিন পর প্রকাশিত আরেকটি ছবিতে হামলাকারীকে হলুদ টি-শার্ট পরা অবস্থায় দেখা গেছে।
মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী সম্ভবত বান্দ্রা থেকে ট্রেনে করে মুম্বাইয়ের আশপাশে ঘুরতে বা অন্য কোথাও বেড়াতে গিয়েছিল। পুলিশের একাধিক দল সন্দেহভাজনকে খুঁজে বের করতে শহর জুড়ে রেলস্টেশনগুলির সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করছে।
এফআইআর অনুসারে, আক্রমণকারী অভিনেতার ছোট ছেলে জেহের শোবার প্রবেশ করেছিল। বাড়ির একজন পরিচারিকা বিপদ বোঝার পরে, সাইফ হস্তক্ষেপ করেন এবং ছয়টি আঘাত পান। 
সাইফের স্ত্রী করিনা কাপুর বলেন, সাইফের আহত হওয়ার ঘটনার সময় ওই পরিচারিকা ও শিশুদের অ্যাপার্টমেন্টের ১২ তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই দম্পতি বান্দ্রার একটি ডুপ্লেক্সে (১১ ও ১২ তলা) সৎগুরু শরণ বিল্ডিংয়ে থাকেন।
অভিনত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, খোলা জায়গায় রাখা গয়না হামলাকারী ছুঁয়েও দেখেনি। করিনা বলেছেন যে এই ঘটনাটি তাকে দুর্দশাগ্রস্ত ও ভীত করে তুলেছিল এবং তার বোন কারিশমা কাপুর তাকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন।
হামলার পর রক্তাক্ত সাইফকে নিয়ে অটোরিকশায় করে লীলাবতী হাসপাতালে যান ওই দম্পতির সাত বছরের ছেলে তৈমুর ও এক গৃহকর্মী। যদিও এ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অপর একটি মত অনুসারে অভিনেতাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বড় ছেলে ইব্রাহিম।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল যে সাইফের বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান তার বাবাকে একটি অটোতে করে হাসপাতালে নিয়ে যায় কারণ পরিবারের কোনও গাড়ি ‘‘প্রস্তুত’’ ছিল না এবং কোনও চালকও ছিল না সেই রাতে। ৫৪ বছর বয়সী অভিনেতাকে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ছুরিটি সরানো এবং মেরুদণ্ডের থেকে বেরিয়ে আসা তরল পদার্থ আটকানোর করার জন্য দ্রুত অস্ত্রোপচার করা হয়। অভিনেতা এখন শঙ্কামুক্ত।
সাইফ ছাড়াও হেক্সা ব্লেডের আক্রমণে জখম হয়েছেন বাড়ির আরও দুই পরিচারক। হামলাকারীকে ধরতে ৩৫টি দল গঠন করেছে মুম্বাই পুলিশ।
এদিকে, সাইফের পরিবারের পক্ষ থেকে মেডিকেল টিমকে এই ঘটনার আর কোনও আপডেট শেয়ার না করার অনুরোধ করা হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অভিনেতার।

Comments :0

Login to leave a comment