বইকথা
রূপকথার দেশে
প্রদোষ কুমার বাগচী
নতুনপাতা
এবার তোমাদের জন্য একটি মজার বইয়ের খবর নিয়ে এসেছি। বইটি মজাদার গল্পে ভরা। চোখ জুড়ানো ছবি। তোমরা তো সকলেই পরীর কথা শুনেছো। কত রকমের পরি যে আছে সেকথা তোমরা সকলেই হয়তো কমবেশি জানো। সকলেই পরিদের ভালোবাসে। কেউ জলপরি, কেউ ফুলপরি, কেউ নীলপরি। আমরা এখানে যে বইটির কথা বলবো তার শুরুতেই রয়েছে একটি পরির গল্প। পরির গল্প কে না শুনতে চায়! ছোটদের মতো বড়দেরও ভালো লাগে সেই গল্প। এখন সেই গল্পের কিছুটা বলে দিচ্ছি।
গল্পের নাম ‘জলপরি’। এক নদীর পাড়ে একটি মেয়ে বসে ছিল। মেয়েটির নাম রূপা। হঠাৎ সে শুনতে পেল, কে যেন বলে উঠল, তুমি এখানে বসে আছো কেন রূপা? রুপা চারদিকে তাকিয়ে দেখল। কেউ কোত্থাও নেই। তাহলে এভাবে তাকে ডাকলো কে? আকাশে পাখি ডানা মেলে উড়ছে। জল তিরতির করে বয়ে চলেছে। রূপা ভাবছে ওটা জলপরি নয় তো। কিন্তু জলপরিরা তো এই নদীতে থাকে না। অন্য দূরের কোনও নদীতে থাকে। কিন্তু ও নাম জানে না। এই সব ভাবতে ভাবতে সে আবার একটা ডাক শুনতে পেল— রূপা তুমি এখানে একা এসেছো কেন? রূপা এবার বললো আগে বলো তুমি কি জলপরি? তাহলে সামনে এসো। জল থেকে কে যেন বললো, এখন তোমার কাছে যেতে পারছি না। কিন্তু আগো তুমি বলো যে তুমি কে। তখন রূপা বলল- আমি একা থাকি, ঘর নেই, বাড়ি নেই। ভাবি একদিন এই নদীতে একটা নৌকা ভেসে উঠবে আর আমি চলে যাব এক অজানা দেশে। সেখান থেকে আমি কোনওদিনই আর ফিরে আসবো না।
তখন কে যেন বললো , তুমি এখনই এখান থেকে চলে যাও। পাঁচদিন পরে আবার এসো। তখন আমি দেখা দেবো। এই কথা শুনে রূপা ফিরে এলো। পাঁচিন পরে সে দেখতে পেলো নদীতে একটি সুন্দর সাজানো গোছানো কি সুন্দর একটি নৌকা রয়েছে। রূপা নৌকায় উঠে বসা মাত্রই নৌকাটা দুলে উঠেই চলতে শুরু করলো। তাহলে কি, রূপা ভাবছে, নৌকাটা জলপরি পাঠালো। রূপা ভয়ে কাঁদতে শুরু করল। তারপর নৌকাটা ডুবতে ডুবতে জলে তলিয়ে গেল।
তাহলে এবার রূপার কি হবে? ও কি পরির দেখা পেল? পরির দেখা যদি পেয়েই থাকে তবে রূপা কি করলো?একথঅ জানতে হলে তোমরা গল্পটা পড়ে ফেলো। এই বইতে আরও মজাদার গল্প রয়েছে। যেমন, পাহাড়ের দৈত্য, কিংশুক ফুল, বোকা নাপিত, রাখালের বাঁশি, পাখির পালক এবং যাদুকরের কেরামতি।
এবার নিশ্চয়ই বইটি কোথায় পাওয়া যাবে জানতে চাইছো তো! বলে দিচ্ছি।
রূপকথার দেশে
প্রণব সেন। বি বি কুণ্ডু গ্র্যান্ড সন্স। ১০/২বি, রমানাথ মজুমদার স্ট্রিট। কলকাতা—৭০০ ০০৯।
Comments :0