বুক স্টল বাড়ছে। উৎসাহ বাড়ছে বুক স্টল ঘিরে। এ বছর মার্কসীয় সাহিত্য সম্ভারের বুক স্টল হচ্ছে রাজ্যে ২৫ শতাংশ বাড়ছে। সোমবার বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন মহম্মদ সেলিম।
উৎসবের সময় কেবল বুক স্টল নয়, বিভাজনের উসকানি ঠেকাতেও সতর্ক থাকবে সিপিআই(এম), জানিয়েছেন সেলিম। তিনি জানিয়েছেন রেড ভলান্টিয়ার বাহিনীও সতর্ক থাকবে। সিপিআই(এম) মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সভায় অংশ নেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোমও। সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন জেলা সম্পাদক জামির মোল্লাও।
সেলিম বলেছেন, ‘‘আগে রাজ্যে এই অভিজ্ঞতা ছিল না। এখন দেখা যাচ্ছে ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষের মধ্যে বিভাজন করতে। গত কয়েক বছর আমরা দেখেছি এমনই হচ্ছে রামনবমীর মতো অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। সিপিআই(এম) বিভাজন রুখতে সতর্ক থাকবে।’’
সোমবার, ১৬ অক্টোবর রাজ্যজুড়ে ‘রাখিবন্ধন’ পালন করেছে বঙ্গীয় সাক্ষরতা প্রসার সমিতি। ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সাম্প্রদায়িক বিভাজনও গভীর করার রাস্তা করেছিল। এই প্রসঙ্গে সেলিম বলেছেন, ‘‘এই দিনে রবীন্দ্রনাথ নিজে ছিলেন উদ্যোক্তা। বিভিন্ন সংগঠনই এই দিনটি পালন করে সম্প্রীতি রক্ষার বার্তায়। বাংলার ঐতিহ্য রক্ষার বার্তায়। ঐক্যই বাংলার ঐতিহ্য।’’
এক প্রশ্নে সেলিম বলেছেন, ‘‘তৃণমূল নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। টাকা লুট করছে, প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে। আর আরএসএস’র সঙ্গে বন্দোবস্ত করছে যাতে ইডি-সিবিআই তাদের নেতাদের না ধরে। লোকদেখানো কিছু হানা দেয়, কিন্তু ধরা না পড়ে তার ব্যবস্থা করে।’’
আরেকটি প্রশ্নে তিনি জানান যে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠন সংক্রান্ত আন্দোলনেও জোর দেবে সিপিআই(এম)। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ইউপিএ-১ সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েছিল বামপন্থীরা। আধুনিক শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যেই তখন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গড়ার দাবি আদায় করা হয়েছিল। কিন্তু সেই ক্যাম্পাসের সম্প্রসারণের প্রয়োজন ছিল। কেন্দ্রে এখন আসীন বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ই ধ্বংস করছে। এ রাজ্যে তৃণমূল সরকারের ভূমিকাও এক। আলিয়াকে ধ্বংস করছে। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মেডিক্যাল শিক্ষাও চালু হওয়ার কথা ছিল।’’ তিনি জানান এই বিষয়ে আন্দোলনে জোর দেবে সিপিআই(এম)।
Comments :0