ছাত্র সংসদ নির্বাচন বিষয়ে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, নির্বাচিত ছাত্র সংসদ ও ইউনিয়ন বন্ধ করে দখলদারি চলছে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে হাইকোর্টে। দক্ষিণ কলকাতা ল কলেজ ও অন্যান্য জায়গায় ক্রাইম সিন্ডিকেট চালাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তৃণমূলের নেতারাই আবার অস্থায়ী কর্মচারী হয়ে যাচ্ছে। তারপর লুটের তালুক হিসেবে ব্যবহার করেছে তৃণমূল প্রত্যেকটি কলেজকে।
এদিন দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও এখনও রাজ্যের সব কলেজের অবৈধ ইউনিয়ন রুম বন্ধ করা হয়নি। তার জন্যই ছাত্ররা অনবরত আন্দোলন করছে রাজ্য জুড়ে। আজ হাইকোর্টের যে প্রশ্ন, কেন ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না, তা যুক্তিপূর্ণ। চলতি মাসের মধ্যেই সরকারকে জানাতে হবে সরকারের মত কী।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ দেখছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোথায় নিয়ে গিয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েকজন আবার বিজেপি-তে। এরা টাকা নিয়ে ভর্তি শুরু করে, এখন গোটা কলেজ প্রশাসন, আমরা নির্বাচিত করেছিলাম, তার সর্বনাশ করেছে। যারা জগ ছুঁড়ে মারছিল তারা মমতাময় ছিল না? এদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যারা দুর্নীতিচক্র চালাচ্ছে তাদের মাথায় তুলে রাখতে হবে।
তবে রাজ্য সরকার যেভাবে আদালতে গিয়ে তারিখ পিছিয়ে দেয়, তারও উল্লেখ করেছেন সেলিম।
২১ জুলাই সমাবেশ ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় সেলিমকে। তিনি বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন মিছিল করতে চাইলে বাধা দেয় কলকাতা পুলিশ। আর ভাইপো রাজভবনে অবস্থান করলে তাঁর সুবিধার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের সব বন্দোবস্ত করছে পুলিশ। ভিক্টোরিয়া হাউস ভিক্টোরিয়া রানির জন্য থাকবে। তখন ইংরেজ আমলে এসব ছিল। স্বাধীনতা মানে তো আইনের চোখ সবাই সমান। এই পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট, কলকাতা পুলিশ সবাইকে সমান চোখে দেখে না।
উল্লেখ্য, ২১ জুলাই শহরের রাস্তায় কোন যানজট হবে না এই মর্মে মুচলেকা দিক কলকাতার পুলিশ কমিশনার। হাইকোর্টে ২১ জুলাই সমাবেশকে কেন্দ্র করে মামলায় একথা বললেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তৃণমূলের ২১ জুলাই সমাবেশের কারণে রাস্তায় যানজটের সমস্যা হয় যার জেরে সমস্যায় পড়তে হয় নিত্য যাত্রীদের। এই মর্মে একটি আইনজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয় হাইকোর্টে।
সেলিম বলেন, আমরা সমাবেশ বন্ধ হোক চাই না। চাই সবার সমাবেশ করার অধিকার থাকবে। অন্য কারও ক্ষেত্রে বলতে পারবে না ওখানে সমাবেশ বন্ধ। শাসকদলকে বেশি দায়িত্বশীল হতে হয়। এরা দায়িত্বজ্ঞানহীন।
Md Salim
ছাত্র নির্বাচন বন্ধ করে দখলদারি চলছে, হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে সেলিম

×
Comments :0