Bangladesh CPB

বাংলাদেশের নির্বাচনে সব আসনে লড়বে বাম জোট, ঘোষণা সিপিবি’র

আন্তর্জাতিক

মীর আফরোজ জামান: ঢাকা

জাতীয় নির্বাচনে সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বাংলাদেশের বাম গণতান্ত্রিক জোট। বাংলাদেশের
কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভার শেষে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর ঢাকায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিবি।
সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির তিন দিনের সভা শেষ হয়েছে শুক্রবার।  বাংলাদেশের নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে পরিচালনার দাবি জানানো হয়েছে। তার জন্য অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘নির্দলীয় রূপে পুনর্গঠনের’ দাবি জানানো হয়েছে। 
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে। অন্তবর্তীকালীন সরকারে একাধিক উপদেষ্টার কাজে রাজনৈতিক সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এঁদের সরানোর দাবি আগেই তুলেছে বামপন্থী দলগুলি। 
সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির দাবি, অন্তবর্তীকালীন সরকারে রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন পরামর্শদাতা, পৃষ্ঠপোষক ও দলীয় পরিচয়ে পরিচিত ব্যক্তিদের পদত্যাগ করতে হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা ঘিরে সন্দেহ থাকতে পারে। 
কেন্দ্রীয় কমিটির সভা থেকে ঠিক হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে সিপিবি ও তার নেতৃত্বাধীন জোটসহ বামপন্থী, গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হবে। সভায় এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক কাজ ও জোরদার রাজনৈতিক তৎপরতা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া  হয়। 
সিপিবি’র সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফী রতন রাজনৈতিক রিপোর্ট উত্থাপন করেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের আলোচনার মধ্য দিয়ে রিপোর্ট গৃহীত হয়। 
গৃহীত রিপোর্টে বলা হয়, সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি রচিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী তেইশ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এবং তা প্রতিফলিত হয়েছে ১০ এপ্রিল ১৯৭১-এ গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে। সংবিধানের প্রয়োগ  সংক্রান্ত বহু বিষয়কে সংস্কারের ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূল নীতির প্রশ্নে আপস করার কোনও সুযোগ নেই।
সিপিবি’র বক্তব্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিনটি টার্মিনাল বিদেশিদের কাছে ইজারা দিয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী ও আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী শক্তির প্রয়োজনে বাংলাদেশে ভূখণ্ডে ছায়াযুদ্ধ চালানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই পরিচালনা করা হবে।
কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি ও উগ্র সাম্প্রদায়িক দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠীর আস্ফালন রুখতে জনতার ঐক্য ও সংগ্রামের ভিত্তিতে বামপন্থী ও গণতান্ত্রিক শক্তির সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। 
২৮ নভেম্বর গ্রাম ও শহরের শ্রমজীবী মানুষের রাজনৈতিক কনভেনশন, ৫ ডিসেম্বর নারী সমাজের রাজনৈতিক কনভেনশন এবং ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment