Md Salim On Corruption

‘ভাঙতে হবে দুর্নীতি-দুষ্কৃতীর গোটা চক্রই’

রাজ্য

Md Salim On Corruption বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদ সেলিম।

দুর্নীতি-দুষ্কৃতী চক্র লুটছে মানুষের টাকা। এক বা দু’জনের বিষয় এটি নয়। দিল্লি এবং কলকাতার সরকারের যোগসাজশে চলছে এই চক্র। সিপিআই(এম) বামপন্থীরা লড়ছে এই চক্র ভাঙার জন্য। মানুষও তাই চাইছেন। 

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কলকাতায় মুজফফ্‌র আহমদ ভবনে তিনি কড়া সমালোচনা করেছেন রাজ্যের পুলিশের। সেলিম বলেছেন, দুর্নীতিবাজদের আড়াল করছে যে পুলিশ, সেই পুলিশই গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ প্রতিরোধ দমিয়ে দিতে সক্রিয়। দেশে এবং অন্য রাজ্যে বিজেপি সরকারের পুলিশের আচরণের সঙ্গে একেবারে মিলে যাচ্ছে এ রাজ্যের অভিজ্ঞতা। 

এদিনই দিল্লি বিমানবন্দর থেকে কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র পবন খেরাকে গ্রেপ্তার করে আসাম পুলিশ। কিছু পরে খেরাকে জামিন দেয় আদালত। এক প্রশ্নে সেলিমের প্রতিক্রিয়া, ‘‘সারা দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে নেমেছে বিজেপি। অঘোষিত জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আসাম সরকার বা উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার যা করছে এ রাজ্যে মমতা ব্যানার্জির পুলিশ একই ভূমিকা নিচ্ছে।’’

এ রাজ্যে বিরোধী নেতাদের আটকানো, মিথ্যা মামলা দায়ের করার উল্লেখ করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়ছে। নির্বাচন কমিশনের আস্থা নেই, উপনির্বাচনে বিপুল কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে। মানুষেরও আস্থা নেই। তবু লজ্জা নেই এই পুলিশের। দুর্নীতি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করলে ইডি, সিবিআই’র দরকার পড়ত না।’’ 

আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীকে জেলে রাখার জন্য হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশ। পথ অবরোধের জন্য ৮৮ জনকে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা কেন তাতেও বিস্মিত বিচারপতি। 

‘কালীঘাটের কাকু’, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতি, মানিক ভট্টাচার্য- শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উঠে আসা নানা নাম সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। শিক্ষায় দুর্নীতি এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী যোগ নিয়ে ইডি বা সিবিআই বয়ান দিচ্ছে আদালতেই। 

সেলিম বলেন, ‘‘যে সব নাম বলা হচ্ছে তাদের শিক্ষা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাছাই করে বসানো হয়েছে দুর্নীতির চক্র চালানোর জন্য।’’ তিনি বলেন, ‘‘মমতা-মুকুল-শুভেন্দু সব এই দুর্নীতির সাম্রাজ্যের অংশীদার। বাংলার মানুষ এই সাম্রাজ্যের পতন চাইছেন। কাকু, পিসি না বলে ইডি বা সিবিআই’কে বলতে হবে কয়লা পাচার থেকে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির মাথারা কবে ধরা পড়বে। না হলে বাংলার মানুষ উত্তর থেকে দক্ষিণ, হিন্দু এবং মুসলিম, এককাট্টা হয়ে অপরাধীদের শাস্তি দেবেন। তাই বামপন্থীরা স্লোগান তুলেছে চোর ধরো, জেলে ভরো। না পারলে গ্রাম-শহর জাগাও, চোরদের তাড়াও।’’ 

সেলিম মনে করিয়ে দিয়েছেন যে মমতা ব্যানার্জি রেল মন্ত্রী হওয়ার পর কালীঘাটে চাকরি প্রার্থীদের আবেদন জমা নেওয়া হতো। সেই দায়িত্ব সামলাতেন মুকুল রায়। ব্রিগেডের সভা থেকে চাকরির জন্য অভিষেক ব্যানার্জির ‘যুবা’-তে যোগ দেওয়া নিদানও দুর্নীতি-দুষ্কৃতী ব্যবস্থা তৈরির অংশ। 

 

Comments :0

Login to leave a comment