Nadia Bairampur Temple

নির্দেশ হাইকোর্টের: বৈরামপুরের মন্দিরে পুজো দেবেন তফসিলিরা, বিজয় মিছিল কৃষ্ণনগরে

জেলা

পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক ন্যায় মঞ্চের উদ্যোগে কৃষ্ণনগর কালেক্টরেটে বিজয় মিছিল।

নদীয়ার বৈরামপুরের শিবমন্দিরে প্রবেশ করে পুজো দিতে পারবেন তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষ। গাজনেও তাঁরা শিব পুজো করবেন। শিবমন্দিরে তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বিঘ্নে যাতে পুজো করতে পারেন তা দেখবেন নদীয়া জেলা আদালতের বিচারক। 
শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। 
এদিনই পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক ন্যায় মঞ্চের উদ্যোগে কৃষ্ণনগর কালেক্টরেটে বিজয় মিছিলে শামিল হন বহু মানুষ। নদীয়া জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 
পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক ন্যায় মঞ্চের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অলকেশ দাস হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মন্দিরে তথাকথিত অস্পৃশ্যদের প্রবেশাধিকার শুধু চৌকাঠ পেরনো নয়, সামাজিক ন্যায় বিচার এবং সমতার লক্ষ্যে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণ, মানুষের মধ্যে এমন বৈষম্য সৃষ্টি করলে তাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। এদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে তফসিলি মানুষ গাজনে সন্ন্যাসী হতে পারবেন। এটা তাঁদের অধিকারের মধ্যেই পড়ে। হাইকোর্ট নির্দেশে বলেছে নদীয়া জেলা আদালতের বিচারক উৎসব শেষ হওয়া না পর্যন্ত গোটা বিষয়টির ওপর নজর রাখবেন। জেলা পুলিশ প্রতি তিন দিন অন্তর বিচারককে সেখানকার ঘটনাপ্রবাহের রিপোর্ট দেবে। উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য বিচারক সেখানে পুলিশ মোতায়েন করবেন। নিরাপত্তার কারণে তিনি অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে পারবেন। 
নদীয়ার কালীগঞ্জ থানার বৈরামপুরের শিবমন্দিরে তফসিলি পরিবারের মানুষ পুজো দিতে গেলে তথাকথিত উচ্চবর্ণের লোকেদের কাছে বাধা পেয়েছিলেন। মন্দিরে তাঁদের শিবপুজো করা যাবে না এমন কী গাজনে তাঁরা সন্ন্যাসী হতে পারবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এমনকী বলা হয়েছিল ধোপা সম্প্রদায়ের মানুষ শিব মন্দিরে ঢুকলে বিগ্রহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মাচরণে বাধার অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষ।

Comments :0

Login to leave a comment