Hindenburg Report

হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট বিতর্কে সেবি-আরবিআই দিয়ে তদন্তের দাবি জানালো কংগ্রেস

জাতীয়

মাত্র একটি রিপোর্ট। তাতেই এক ধাক্কায় বিশ্বের তৃতীয় ধনী থেকে চতুর্থ নম্বরে ‘পতন’ ঘটে ধনকুবের গৌতম আদানীর। প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হয় আদানীকে।  মার্কিন গবেষণা সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয় শেয়ারের দাম বাড়তে নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেছে আদানী গ্রুপ। শেয়ারের দামের মূল্যায়ন অতিরিক্ত করে দেখানো হয়েছে বাজারে। হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্টের পরেই, গৌতম আদানির সম্পত্তি এক ধাক্কায়  ৪৮৯,৯৯,৩০,০০,০০০ টাকা কমেছে। 

ওই রিপোর্ট প্রকাশের পরেই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির শেয়ারের দাম মুখ থুবড়ে পড়তে শুরু করে। বুধবার শেয়ার বাজারে সর্বাধিক ৮.০৮ শতাংশ পতনের মুখে পড়ে আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ার। তাছাড়াও আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনের শেয়ার ৬.১৩ শতাংশ, আদানি উইলমারের শেয়ার ৪.৯৯ শতাংশ, আদানি পাওয়ারের শেয়ার ৪.৯৫ শতাংশ, আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ার ৩.৯ শতাংশ, আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ার ২.৩৪ শতাংশ এবং আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ারে ১.০৭ শতাংশ পতনের মুখে পড়ে। 

ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের (Hindenburg Research)  বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় আদানি গ্রুপ। এক্ষেত্রে কী ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা যাচাইয়ের জন্য বর্তমানে সংস্থাটি মার্কিন এবং ভারতীয় আইনের একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখছে বলে জানানো হয়েছে। মূলত, কোম্পানিতে প্রোমোটার বা মালিকের কারসাজির ফলেই স্টকের দাম বাজারে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। অন্য লোকের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর শেয়ার কিনে নিজের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে আদানিরা, এমনই বলছে হিনডেনবার্গ রিসার্চ। যা এক কথায় বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণার সমান।

এই বিতর্কে মাঝেই কংগ্রেস শুক্রবার আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ গবেষণার অভিযোগের তদন্তের জন্য আরবিআই এবং সেবি দ্বারা তদন্তের দাবি করেছে। জারি করা এক বিবৃতিতে, কংগ্রেসের মিডিয়া বিভাগের প্রধান এবং কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন, ‘‘অভিযোগগুলির তদন্তের জন্য যারা ভারতের আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন, যেমন- ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)।

মোদি সরকারকে তাদের ‘‘পছন্দের ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর’’ দিকে চোখ ফেরানোর জন্য আক্রমণ করে, রমেশ যোগ করেছেন, ‘‘কালো টাকা নিয়ে এত উদ্বিগ্ন হয়েও, মোদি সরকার কি তার প্রিয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর অবৈধ কার্যকলাপের প্রতি চোখ বন্ধ করে রেখেছে? এক্ষেত্রে কি কোনো বিশেষ দেওয়া নেওয়ার ব্যাপার ঘটেছে?  সেবি কি এই অভিযোগগুলির আক্ষরিক অর্থেই সম্পূর্ণ তদন্ত করবে?

Comments :0

Login to leave a comment