Debendra Fadnavis

দাঙ্গাবাজদের থেকে ক্ষতিপূরণ, নাগপুর হিংসায় হুমকি ফড়নবিসের

জাতীয়

নাগপুরে সাম্প্রদায়িক হিংসায় ক্ষয়ক্ষতি মেটাতে হবে দাঙ্গায় যুক্তদের। না দিতে পারলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তার বিক্রি করে ক্ষতিপূরণ নেবে সরকার। শনিবার এমনই কথা বলেছন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ১০৪ জন দাঙ্গাকারিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। যার মধ্যে ১২ জন নাবালক। 
তিনি বলেন, ‘‘যারা দাঙ্গা করেছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদি না দিতে পারে তাহলে সরকার তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা বিক্রি করে টাকা তুলবে।’’ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছিল তাদের কঠোর শাস্তি না দিয়ে প্রশাসন থামবে না।
উল্লেখ্য উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে দেখা গিয়েছে যে কোন সাম্প্রদায়িক হিংসার ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের দোষী চিহ্নিত করা হয়েছে। সোমবার রাতে নাগপুরে যে ঘটনা ঘটে তার ইন্ধন দিয়েছে বজরঙ্গ দল, ভিএইচপির মতো আরএসএস ঘনিষ্ঠ সংগঠন গুলো। এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির মিছিল থেকেই ছড়ায় প্রবল উসকানি। আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে এই মিছিল ঘিরে।  
এই হিংসার সাথে বিদেশী কোন যোগ আছে কি না তা জানতে চাওয়া হলে এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন এখনই এই কথা বলা সম্ভব নয়।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ৩০ মার্চ প্রথম আরএসএস সদর দপ্তর নাগপুরে যাচ্ছেন মোদী। তাতে এই হিংসার ঘটনার কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন ফড়নবিস।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক হিন্দি সিনেমা ‘ছাবা’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে মহারাষ্ট্র সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ। শিবাজীর জন্মদিনের দিন মহারাষ্ট্র মিছিল করে আরএসএসের বিভিন্ন শাখা সংগঠন। দাবি তোলা হয় মহারাষ্ট্র থেকে আওরঙ্গজেবের কবর তুলে দেওয়ার। 
নাগপুরের সংখ্যালঘু এলাকায় আওরঙ্গজেবের কুশপুতুল পোড়ায় তারা। তারপরই সেখানে হিংসা ছড়ায়।
রাজ্যের মন্ত্রী নীতিশ রানে বলেছেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি তাদের কাজ করুক, সরকার তাদের কাজ করবে। অর্থাৎ মদত দিচ্ছেন হিংসায়। আওরঙ্গজেবের কবর সরানোর যে দাবি, তাকে ঘুরিয়ে মান্যতা দিচ্ছেন সরকারের মন্ত্রী। 
গত সোমবার একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশ বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে সরকারকে আওরঙ্গজেবের কবর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। এটি সংরক্ষিত স্থান হওয়ার কারণে তা রক্ষার দায়িত্ব সরকার নিতে বাধ্য। শ্রদ্ধা নিবেদনের থেকেও ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে এটা সংরক্ষিত জায়গা হিসেবে চিহ্নিত।

Comments :0

Login to leave a comment