ভোটের ফারাক তিন শতাংশের কাছে। কিন্তু আসনের ফারাক প্রায় কুড়ি।
দিল্লি বিধানসভা ভোটে ‘আপ’ পেয়েছে ৪৩.৩ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ৪৬.৭৫ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেয়েছে ৬ শতাংশ।
কিন্তু আসনের বিচারে চিত্র আলাদা। আপ-র আসন ২৩, বিজেপি’র ৪৭।
ভোটের শতাংশ দেখাচ্ছে, ২০২০’র বিধানসভার তুলনায় আপ-র ভোটের হার প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। ২০২০-তে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল পেয়েছিল ৫৩.৮ শতাংশ। বিজেপি ওই নির্বাচনে পেয়েছিল ৩৮.৭ শতাংশ।
লোকসভা ভোটে যদিও বিজেপি দিল্লির ৭টি আসনের সব ক’টি জতছে গত দু’টি নির্বাচনে। দেখা গিয়েছে লোকসভা ভোটের হার বিধানসভায় ধরে রাখতে পারে না বিজেপি। এবার যদিও তা হয়নি।
তবে বিজেপি’র সাফল্যে প্রশ্ন তুলবেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা। ভোট মিটে যাওয়ার আটচল্লিশ ঘন্টা বাদে চূড়ান্ত মতদানের হার প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছেন, ১৭-সি ফর্ম অনুযায়ী বুথ ভিত্তিক ভোটদানের হার আপলোড করেনি কমিশন। দিল্লিতে কম সময়ের মধ্যে ভোটদাতা বেড়ে যাওয়ার রহস্য নিয়েও সোচ্চার আপ। সেক্ষেত্রে ভোটদানের
লোকসভা নির্বাচনের পর্বেও কমিশনকে ঘিরে এমনই অভিযোগে সরব ছিল বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’। দিল্লি বিধানসভায় যদিও আপ এবং কংগ্রেস আলাদা লড়েছে। কংগ্রেস পেয়েছে ৬ শতাংশ ভোট।
ফল বেরনোর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, জনশক্তিই সর্বোচ্চ। উন্নয়ন এবং সুশাসনের জয়। দিল্লিবাসীকে অভিবাদন। আশীর্বাদ আমাদের সম্মানিত করেছে। দিল্লির উন্নয়নের কোনও প্রয়াসই বাকি রাখব না। দিল্লির উন্নয়ন এবং জীবনমানের উন্নয়নের চেষ্টা করব। দিল্লির উন্নয়ন বাদ দিয়ে বিকশিত ভারত সম্ভব নয়।
তবে মোদীর মেয়াদে যেভাবে নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা এবং নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে, তাকে গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ বলেই মনে করছে বিজেপি বিরোধী সব অংশ।
Delhi Vote Percentage
দিল্লি: ভোটের হারে ফারাক ৩%, তাতেই ফারাক ২৪ আসনে

×
Comments :0