JAGDEEP DHANKAR

বিলে সইয়ের রায়কে আক্রমণ করে কড়া সমালোচনার মুখে ধনকড়

জাতীয়

রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনায় যেভাবে নেমেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন অংশে। কেন্দ্রের সরকারে আসীন বিজেপি’র মুখপত্রের মতো ভাষা রাজ্যসভার চেয়ারপার্সনের মুখে।
রাজ্য বিধানসভায় পাশ বিলে  রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির সইয়ের মেয়াদ ঠিক করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের সমালোচনা করে প্রকাশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। 
বিরোধী পরিচালিত সরকার রয়েছে এমন রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালদের পুরোদমে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিধানসভায় বিল পাশ হওয়ার পর তা আটকে রাখা হচ্ছে। ফের বিল এনে পাশ হলেও রাজ্যপালের সম্মতি মিলছে না। রাজভবন থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু বিল আটকেও থাকছে। তামিলনাডুর ডিএমকে সরকার এমন একাধিক বিলের নজরি দিয়ে মামলা করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। তার ভিত্তিতে আদালত ঠিক করে দিয়েছে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে এক মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে রাজ্যপালদের। আর রাষ্ট্রপতিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ৩ মাসের মধ্যে। 
সংবিধানের ১৪২ ধারা প্রয়োগ করে তামিলনাডু বিধানসভা আটকে থাকা দশটি বিল পাশ করে আইনে পরিণত করার রায়ও দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দুই বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা এবং আর মাধবনের বেঞ্চে এই রায়ের বিরোধিতায় সরব কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুও। 
এদিন ধনকর থেকে রিজিজুর ভূমিকাকে সংবিধান বিরোধী বলেছেন রাজ্যসভার নির্দল সদস্য কপিল সিবাল। তিনি বলেছেন, রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন বা ‘স্পিকার’ কোনও দলের মুখপাত্র নন। কিন্তু তাঁর কথা শুনে মনে হচ্ছে তিনি যেন বিজেপি’র মুখপাত্র।’’ 
সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে সিপিআই(এম) বলেছে যে রাজ্যগুলির অধিকারের পক্ষে লড়াইকে জোরদার করার সুযোগ দেবে। কেরালায় বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকারও রাজ্যপালের সম্মতির অভাবে বিল আটকে তাকার সমস্যায় ভুগছে।
সিবাল বলেন, ‘‘কোনও বিল দু’বছর আটকে রাখা হবে কেন। রাজ্যের মানুষের প্রয়োজন হলেও তা বিবেচনা করা হবে না কেন। ১৪২ ধারা সংবিধানই তৈরি করেছে। সুপ্রিম কোর্ট তা প্রয়োগ করে বিল আইনে পরিণত করেছে। এখন ধনকড় সংবিধানের এই ধারাকেই নিউক্লিয়ার বোমা বলছেন। তাঁর এমন মন্তব্য সংবিধান বিরোধী।’’

Comments :0

Login to leave a comment