এক্সিট পোলের ফলাফল শেষ কথা বলবে না। ২ মার্চ সূর্যোদয় হবে ত্রিপুরায়। সোমবার জোরের সঙ্গে এই বিশ্বাস জানিয়েছে সিপিআই(এম)।
এদিন সাব্রুমে বিভিন্ন এলাকায় কথা বলেন সিপিআই(এম) ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। এদিনই বুথ ফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোলের ফলাফল ঘোষণা করেছে বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেল।
সাব্রুমে চৌধুরী পার্টিকর্মী ও সমর্থকদের সভায় বলেছেন, ২ মার্চ সূর্যোদয় হবে। ওইদিনই আসল ফল গণনা হবে।
সিপিআই(এম) ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির ফেসবুক পেজেও এক্সিট পোল নিয়ে পোস্ট করা হয়েছে। জিতেন্দ্র চৌধুরীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘‘বিগত পাঁচ বছরের ত্রিপুরার জনগণের দৈনন্দিন জীবনসংগ্রাম এবং সুখ দুঃখের এক্সিট-এ থেকে যে সমস্ত সংস্থাগুলি এক্সিট পোল দেখাচ্ছে তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই।’’
এদিন বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলের এক্সিট পোলে অনুমানে গুরুতর তারতম্য দেখা গিয়েছে। সর্বভারতীয় চ্যানেলগুলির অনুমানে কংগ্রেসকে শূন্য ধরা হয়েছে সব সমীক্ষাতেই। বামফ্রন্টের আসন সবচেয়ে কম ৬ ধরা হয়েছে একটি সমীক্ষায়, আবার আরেকটিতে বামফ্রন্টের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ আসনের অনুমান জানানো হয়েছে।
ত্রিপুরায় ৬০ আসনের বিধানসভায় গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩১ আসন। বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হয়েছে রাজ্যে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে। সংবিধানের বোঝাপড়া তছনছ করে জনতার গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর রাজ্যের বিজেপি সরকারের নির্মম আক্রমণকে রোধ করার ঘোষণা করে। ত্রিপুরায় রাজ্যের সংবাদমাধ্যমের ওপরও নেমেছে মারাত্মক আঘাত। পাঁচ বছর আগে বিজেপি’র প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। জনজীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য জানিয়েছে বামফ্রন্ট।
এই বাস্তবতা এদিন মনে করিয়েছেন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মনও বলেছেন, ২ মার্চ ফল ঘোষণায় বিজেপি’র পরাজয় নিশ্চিত।
Comments :0