FATHER DIED TO SAVE DAUGHTER

দুষ্কৃতীরাজ, শ্যামপুরে মেয়েকে
বাঁচাতে নিহত বাবা

রাজ্য জেলা

FATHER DIED TO SAVE DAUGHTER অভিযুক্তদের একজনকে ধরেছে পুলিশ।

টিউশন পড়ে ফিরছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাকে ঘিরে ধরে টানাটানি শুরু করে তিন দুষ্কৃতী। মেয়ের চিৎকার শুনে বেরিয়ে এসে বাধা দেন বাবা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার হাসপাতালে মৃত্যু হলো বাবার। 

নির্মম ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা। শ্যামপুর থানায় নিহতের পরিবার তিনজনের নামে অভিযোগ দায়েরও করেছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘুরে বেড়াচ্ছে বাকি দু’জন। 

ঘটনায় ধিক্কার জানিয়েছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, ‘‘যা চলছে এ রাজ্যে, জঙ্গলের রাজত্ব বললেও কম বলা হয়।’’ 

ঘটনা ২২ ডিসেম্বরের। পরিবারের অভিযোগ, টিউশন পড়ে রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ ফেরার পথে ওই তিন সমাজ বিরোধী ছাত্রীকে অসৎ উদ্দেশ্যে টানাটানি করতে থাকে। শ্লীলতাহানি করতে থাকে। ছাত্রীটি চিৎকার করলে বাবা এসে মেয়েকে অনেক কষ্টে উদ্ধার করেন। 

এরপরই মেয়ে বাড়ির দিকে ছুটে যায় মাকে ডাকতে। তার মধ্যেই তিন সমাজবিরোধী ছাত্রীর বাবাকে মারধর শুরু করে। তিনি রাস্তায় পড়ে যান। মরে গেছে ভেবে ঝোপের দিকে তাঁকে ফেলে চলে যায় ওই তিন দুষ্কৃতী। পরে খোঁজাখুঁজি করে বাবাকে উদ্ধার করেন পরিজনরা। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গুরুতর অহত অবস্থায়। বাবা হাসপাতালে মারা যান। 

স্থানীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই তিন সমাজবিরোধী এলাকার বহু মানুষকে মারধর করেছে। এই তিনজন, শান্তনু হাপর, কিল্টন বাগ, টিটন বাগ ছিনতাই চালিয়েছে। রাতে কেউ একা গেলে, ছেলে হোক বা মেয়ে, রেহাই নেই। এরাই এলাকায় মদের বড় ব্যবসা চলছে। কোনও কিছুই প্রশাসনের অজানা নয়। তবু ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

এই দিন সমাজ বিরোধী এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে অথচ প্রশাসন চুপচাপ। সমানে মদের আড্ডা চালিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা চালাচ্ছে।

 

Comments :0

Login to leave a comment