সিওল থেকে শাঙডঙের জিনানে ফেরার উড়ান চালু হলো ফের। কোভিড নিয়ন্ত্রণ বিধিতে চীন বদল আনার পর, ৯ জানুয়ারি, প্রথম জিনানে এল উড়ান। আন্তর্জাতিক স্তরে সমালোচনা হলেও চীনের দাবি, বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক মঞ্চগুলির প্রায় পুরোটাই আন্তর্জাতিক যোগাযোগে কোভিড বিধি শিথিল করার পক্ষে।
শিনহুয়া’র নিবন্ধে জানানো হয়েছে যে চীনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিকাশ পর্ষদ সমীক্ষা চালিয়েছে। বিদেশি সংস্থা এবং বাণিজ্যিক মঞ্চগুলির ৯১ শতাংশই বিধি পরিবর্তনের পক্ষে।
বিধি পরিবর্তন মানে কী?
সহজে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন শ্যালে রস। রবিবারই নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন এই জার্মান নাগরিক। বাসিন্দা সাংহাইয়ের। পিউডঙ বিমানবন্দরে নেমে সংবাদমাধ্যমে রস বলেছেন, ‘‘তিন সপ্তাহ আগে গিয়েছিলাম ছুটিতে। টিকিট কেটেছিলাম এক বছর আগে। ভয় ছিল, ফিরলেই কোভিড বিধি অনুযায়ী থাকতে হবে কোয়ারান্টিনে। কোভিড ধরা পড়ুক আর না পড়ুক। সেটিই ছিক বিধি। কিন্তু থাকতে হচ্ছে না। খুব ভাল লাগছে।’’
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, বিশেষ করে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম, চীনে সংক্রমণের খবর নিয়ে প্রতিবেদনের স্রোত বইয়ে দিচ্ছে। চীনের কোন প্রদেশে কত শতাংশ সংক্রমিত, কোনও তথ্য সামনে এলেই তা হাজির করছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করাচ্ছেন, কোভিডের মতো রোগে বড় অংশের নাগরিকের সংক্রমণ হওয়ারই কথা। প্রশ্ন হচ্ছে কতজনের মধ্যে তা গুরুতর হচ্ছে, হলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন বা জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার মতো স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আছে কিনা। কোনও না কোনও পর্বেই সংক্রমিত হননি, এমন নাগরিক খুঁজে পাওয়াই কঠিন অন্য অনেক দেশেই।
স্বাস্থ্য সঙ্কট নিয়ে ব্যাখ্যা না দিলেও চীনের বক্তব্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে একাংশ নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী চীনকে দায়ী করছে। ‘জিরো কোভিড’ কড়াকড়ির সমালোচনা করেছে কিছুদিন আগেও। এখন আবার বিধিনিষেধ শিথিল করায় গোটা বিশ্বে কোভিড ছড়াবে বলে প্রচার করছে।
শাঙডঙ এয়ারলাইন্সের তরফে সোমবার বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পারাপারে স্বাস্থ্য বিধি শিথিল করার বাণিজ্যিক সুবিধা হবে। দূরের দেশগুলির পাশাপাশি এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে উড়ান চলাচল অনেক সহজ হবে।
জনস্বাস্থ্য পরিভাষায় চীন করোনা ভাইরাসকে ‘ক্লাস এ’ হিসেবে বিবেচনা করছে না আর। ‘ক্লাস বি’ স্তরের সংক্রামক ভাইরাস হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দেশের অন্য অঞ্চল এবং অন্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করা হলো তিন বছর পর।
করোনায় আক্রান্ত অন্য প্রায় সব দেশই এক বছর আগে আন্তর্জাতিক যোগাযোগে কোভিড বিধি শিথিল করে দিয়েছে। কিন্তু চীনে কড়াকড়ি বজায় থেকে ২০২২’র শেষেও।
Comments :0