বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সব হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, যারা হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, এরা যে–ই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
তাঁর কথায় কয়েকটি গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে এই কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। যেহেতু বিষয়টি উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে, তাই সকলকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
হাসিনা আরও বলেন,‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, কিছু মহল এই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আপনজন হারানোর বেদনা যে কতটা কষ্টের, তা আমার চেয়ে আর কে বেশি জানে?’
এই ঘটনায় যারা মারা গেছেন তাঁদের স্মৃতি এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তা কখনোই কাম্য ছিল না। চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীরা বহুতল ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে নিচে ছুড়ে ফেলে, ছাত্রদের হাত–পায়ের রগ কেটে দেয়। তাদের লাঠিপেটা করে এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে। একজন মৃত্যুবরণ করেছে, অনেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঢাকা, রংপুর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবন ও ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক হলে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করা হয়।’
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এসএফআই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
Comments :0