ইজরায়েল সীমান্তে নজরদারি ক্যামেরা ধ্বংস করার দাবি জানালো লেবাননের হিজবুল্লা। এই সংগঠনের সঙ্গে ২০০৬ সালে প্রায় এক মাস যুদ্ধ চালিয়েছিল ইজরায়েল। তবে পিছু হটতে হয়েছিল সেবার।
গাজাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কড়া প্রতিবাদ করেছে হিজবুল্লা। বাসিন্দাদের ঘর ছেড়ে দূরে সরে যাওয়ার নির্দেশিকারও বিরোধিতা করেছে। ফল ভালো না হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে গত সপ্তাহে। আবার ইজরায়েলের বাহিনী আইডিএফ’র দাবি, লেবাননে হিজবুল্লার সামরিক পরিকাঠামোয় আঘাত করা গিয়েছে বিমানহানা চালিয়ে।
গাজায় এখন ইজরায়েলের পদাতিক বাহিনী পুরোদমে ঢুকে পড়ে দখল নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে হিজবুল্লার প্রচার বিভাগ জানিয়েছে যে দূর থেকে লক্ষ্যে আঘাত করতে দক্ষ ‘স্নাইপার’ বাহিনী গুলিতে ভেঙে দিচ্ছে ইজরায়েলের ক্যামেরা নজরদারি।
আইডিএফ এবং ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যে লেবানন সীমান্ত থেকে নাগরিকদের ভূখণ্ডের ভেতরে চলে আসতে বলা হয়েছে। হিজবুল্লার আঘাতের ভয়েই এই সিদ্ধান্ত, বলছেন পর্যবেক্ষকরা। সীমান্ত থেকে প্রায় দেড় মাইল জায়গা ফাঁকা করতে চাইছে ইজরায়েল। সরকারি শিবির খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
এদিনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দু’টি জাহাজে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে গাজার উদ্দেশ্যে। ইজরায়েলি বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকা গাজায় সেই ত্রাণ পৌঁছাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় যথেষ্টই। একাধিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে দিয়েছে ইজরায়েল। বিদ্যুতের সঙ্কট তীব্র প্যালেস্তাইনের গাজা শহরে। হাসপাতালেও দেওয়া যাচ্ছে না বিদ্যুৎ।
Comments :0