দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির হার একধাপে অনেকটা কমে গেল। চলতি আর্থিক বর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিক, ২০২২-র অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে এই হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪.৪ শতাংশ। চতুর্থ ও শেষ ত্রৈমাসিক এখন চলছে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরে এই হার ছিল ৬.৩ শতাংশ। গত আর্থিক বর্ষে এই সময়ে বৃদ্ধির হার ছিল ১১.২ শতাংশ। জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস মঙ্গলবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
বৃদ্ধির হার হ্রাসের অন্যতম কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রের সঙ্কোচন। বৃদ্ধির বদলে এই ক্ষেত্রে ১.১ শতাংশ উৎপাদন কমে গেছে। আরেকটি বড় কারণ মুদ্রাস্ফীতি ও সে-কারণে জিনিসপত্রের ক্রাগত মূল্যবৃদ্ধি। বড় কারণ দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। আয় কমছে, সুতরাং জনসাধারণের বৃহৎ অংশের চাহিদা কমছে। ব্যক্তিগত ক্রয় নিচু স্তরে রয়েছে। একই সঙ্গে গত ত্রৈমাসিকে সরকারি ব্যয়ও হয়েছে কম। পরিসংখ্যা অনুসারে, গ্রামে চাহিদা সবচেয়ে বেশি কমেছে। অংশত তা সামাল দেওয়া গেছে শহরে ভোগ্যপন্যের চাহিদা কিছু বাড়ায়। কিন্তু রপ্তানি কমেছে। রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদনও সেইসঙ্গে কমে গেছে।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এ বছরের বাজেট পেশের আগে যে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করা হয়েছিল সেখানে চলতি আর্থিক বর্ষের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। এদিন সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণ দাবি করেছেন, শেষ ত্রৈমাসিকে ৪ শতাংশ বৃদ্ধির হার থাকলেই সমগ্র অর্থবর্ষে ৭ শতাংশ বৃদ্ধির হারে পৌঁছনো সম্ভব হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেব ছিল বৃদ্ধির হার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৪.৪ শতাংশই হবে। কিন্তু শেষ ত্রৈমাসিকে তা আরও কমে ৪.২ শতাংশ হবে।
দীর্ঘ সময় কোভিড মহামারীকে অর্থনীতি শ্লথ হবার কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছিল। তার মধ্যে বাস্তবতাও ছিল। কিন্তু মহামারী কেটে যাবার বহু মাস পরেও অর্থনীতি চাঙ্গা হবার কোনও লক্ষণই নেই। বরং এই সময়ে কর্মসংস্থান বাড়েনি, সরকারি ব্যয়ে পরিকাঠামো তৈরির কাজও এগয়নি।
India gdp
জিডিপি বৃদ্ধির হার একধাপে অনেক কমল
×
Comments :0