INDO US

আমেরিকার চাপের বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে মোদী সরকারকে, দাবি পলিট ব্যুরোর

জাতীয়

বাণিজ্য আলোচনায় ভারতের কৃষি বাজার খোলার জন্য চাপ দিয়ে চলেছে আমেরিকা। আর নরেন্দ্র মোদী সরকার মাথা ঝুঁকিয়ে চলছে। পেটেন্ট আইন বদলাতেও চাপ দিচ্ছে আমেরিকা। ভারতকে তার বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে। কৃষকদের এবং দেশের স্বার্থ রক্ষা করতেই এমন অবস্থান নেওয়া জরুরি। 
ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনা প্রসঙ্গে এই দাবি জানিয়েছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। 
আমেরিকার শুল্কের হুমকির মুখে আমেরিকাকে খুশি করার জন্য মোদী সরকারের লাগাতার প্রয়াসেরও সমালোচনা করেছে পলিট ব্যুরো। 
রবিবার পলিট ব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চড়া হারে আমদানি শুল্ক বসিয়ে পিছু হটে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে। চীন, কানাডা, মেক্সিকো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমেরিকার থেকে আমদানিতে পালটা শুল্ক বসিয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার কোনও প্রতিক্রিয়াই দেখাচ্ছে না। বরং, ট্রাম্প প্রশাসনকে খুশি করতে আমেরিকার থেকে আমদানিতে নিজেরাই শুল্ক কমিয়ে চলেছে। 
এ বছরই ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকায় গিয়ে সেদেশের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। দু’দেশের বাণিজ্য দ্বিগুণের বেশি করার লক্ষ্য জানিয়ে সমঝোতা হয়েছে। ২০৩০’র মধ্যে ৫০ হাজার কোটি ডলারে নেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মার্কিন প্রশাসন চড়া শুল্কের দায় চাপিয়ে ভারতের ওপরও ‘পালটা শুল্ক’ বসিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, আমেরিকায় ভারতের রপ্তানি ৮৬.৫ বিলিয়ন ডলার হলেও আমদানি করেছে ৪৫.৩ বিলিয়ন ডলার। আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি হচ্ছে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই হিসেবকে জারিজুরি বলছেন। তাঁদের বক্তব্য, আমেরিকার থেকে ভারত যে অস্ত্র কিনছে প্রতি বছর তাকে বাণিজ্যের হিসেবে রাখাই হচ্ছে না। তার ওপর ভারতীয় ছাত্রেরা প্রতি বছর আমেরিকায় গিয়ে শিক্ষার জন্য ১৫০০ কোটি ডলার খরচ করছে। সেটিও হিসেব থেকে বাদ রেখে ভারতকে শুল্ক কমাতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। 
এই অংশের বক্তব্য, ভারতে তৈরি আইফোন আমেরিকায় বিক্রি হয় প্রায় ১ হাজার ডলারে। আমেরিকার সংস্থা আ্যাপেল পায় ৪৫০ ডলার। ভারতীয় সংস্থাগুলির হাতে থাকে ২৫ ডলার। বাকি অংশ অন্য বিক্রেতাদের কাছে যায়। অথচ আমেরিকা হিসেবের বেলায় পুরো ১ হাজার ডলারকেই ভারতের রপ্তানি বলে দেখায়। 
পলিট ব্যুরো বলেছে, দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার লক্ষ্যে এর মধ্যেই দু’দেশের দু-দফায় আলোচনা হয়ে গিয়েছে। এই বছরের শেষে সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ার কথা। এই প্রক্রিয়ায় ভারতের স্বার্থ রক্ষার দাবি তুলেছে পলিট ব্যুরো।  
গাজায় যুদ্ধের নামে গণহত্যা বন্ধ করার দাবিও তুলেছে পলিট ব্যুরো। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইজরায়েলের আক্রমণের পাশাপাশি ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে ভুখা পেটে গাজার বাসিন্দাদের মেরে ফেলা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্তর থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার জন্য ইজরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। গাজায় খাদ্য এবং অন্য জরুরি সরঞ্জাম অবাধে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment