ডিসেম্বরে পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়াল ৫.৭২ শতাংশে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (NSO)’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ক্রেতা পণ্য মূল্য সূচকের ভিত্তিতে মূল্যবৃদ্ধি নভেম্বরের তুলনায় খানিকটা কমেছে ডিসেম্বরে। তবে দানাশস্য, জ্বালানির সূচক ডিসেম্বরেও দুই অঙ্কেই রয়েছে।
আমজনতা বাজার বা দোকান থেকে যে দামে পণ্য কেনেন তার ভিত্তিতে ক্রেতা পণ্য মূল্য সূচক বা কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) হিসেব করা হয়। আগের বছরে একই মাসের তুলনায় সূচকের পরিবর্তন মেপে মূল্যবৃদ্ধির হার প্রকাশ করা হয়। গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় এ বছর ক্রেতা সূচকের নিরিখে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৮৮ শতাংশ। ডিসেম্বরে এই হার ৫.৭২ শতাংশ।
চড়া মূল্যবৃদ্ধির সময়ে অঙ্কের বিচারে স্বস্তি ফেলতে চেষ্টা করেছে সরকার। তবে ডিসেম্বরের হিসেবই জানাচ্ছে, দানাশস্যে মূল্যবৃদ্ধির হার ডিসেম্বরেও ১৩.৭৯ শতাংশ। শীতের ফলন বাজারে আসায় সবজির দাম ১৫.০৮ শতাংশ কমেছে ডিসেম্বরে। তবে জ্বালানির দামবৃদ্ধির হার ১০.৯৭ শতাংশ। নভেম্বরে হার ছিল ১০.৬২ শতাংশ। মসলা ২৬.৩৫ শতাংশ, দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় পণ্যে ৮.৫১ শতাংশ।
সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২১’র মার্চের পর টানা ১০ শতাংশ বা তার বেশি থেকেছে মূল্যবৃদ্ধির হার। নভেম্বরে সেই হার ৬ শতাংশের নিচে নামে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২-৬ শতাংশের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধি বেঁধে রাখার লক্ষ্য জানিয়েছে। গত মাসেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছিলেন নভেম্বরের তথ্য হাতে আসার পরও মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলায় ঢিলে দেওয়া হবে না।
ডিসেম্বরে শাক সবজি ও ফলের দাম কমায় মূল্যবৃদ্ধির হার কমেছে। নভেম্বরের এ ক্ষেত্রে হার ছিল ৪.৬৭ শতাংশ, ডিসেম্বরের কমে হয় ৪.১ শতাংশ।
সবজি বা ফলের জোগানের পাশাপাশি খরিফের ধানও বাজারে আসছে। মূল্যবৃদ্ধির হার কমায় তা খানিকটা সহায়ক হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। খাদ্যদ্রব্যে মূল্যবৃদ্ধির হার হয়েছে ডিসেম্বরে ৪.১৯ শতাংশ। নভেম্বরে সিপিআই’র নিরিখে তা ছিল ৪.৬৭ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করিয়েছেন অঙ্কের হিসেবে দাম কমার আরেকটি কারণ গত বছরে উঁচুতে থাকা দামস্তর। ফলে সাধারণের আয়ের তুলনায় খরচ উদ্বেগজনক স্তরে হলেও গত বছরের নিরিখে বৃদ্ধি শতাংশের হিসেবে কম।
Comments :0