JALPAIGURI TOTO

পৌর নির্দেশে ক্ষোভ, জীবিকাসঙ্কটে টোটো চালকদের অবরোধ, বিপাকে শিক্ষকরা

জেলা

জলপাইগুড়ি পৌরসভার সামনে গভমেন্ট গার্লস স্কুলের মোরে টোটো চালকদের পথ অবরোধ।

শহর সংলগ্ন নয়। এই যুক্তিতেই বিভিন্ন এলাকার টোটো চালকদের শহরে গাড়ি চালাতে দিচ্ছে না জলপাইগুড়ি পৌরসভা। বুধবার তার পালটা বিক্ষোভে নামলেন গরালবাড়ির টোটো চালকরা। জলপাইগুড়ি শহর থেকে গ্রামে ঢোকার মুখে অবরোধ করেন তাঁরা। জলপাইগুড়ি থেকে কাজে যাওয়া শিক্ষকরা আটকে পড়েন।
প্রবল বিপাকে পড়ে শিক্ষকরা বিষয়টি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট স্তরে। সমস্যার জেরে জলপাইগুড়ি পৌরসভা এবার বলছে, সাময়িক কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিকল্প কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় ভাবা হচ্ছে। 
জলপাইগুড়ি পৌর এলাকায় টোটো নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকমাস ধরেই নেমেছে পৌরসভা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে পাহাড়পুর, অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত, খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পাটকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা শহর সংগ্ন। কেবল এই এলাকার টোটো চলতে পারবে শহরে। তার বাইরে কোনও এলাকার শহর চলবে না।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা এলাকার টোটো আটকাতে পুলিশকেও নামিয়েছে পৌরসভা। প্রতিবাদ বেশ কয়েকদিন ধরেই জানাচ্ছিলেন টোটোচালকরা। তাঁরা বলেন যে গ্রামে একশো দিনের কাজ নেই। অন্য কাজও নেই। আয়ের একমাত্র রাস্তা টোটো। সেটিও বন্ধ করে দিলে অনাহারে মরতে হবে। পৌরসভা তখন কান দেয়নি।
বুধবার সকালে খড়িয়া সংলগ্ন গরালবাড়ি এলাকার টোটো চালকরা পালটা  বিক্ষোভে নামেন। শহর থেকে যাচ্ছেন এমন চাকরিজীবীদের আটকানো হয়। জলপাইগুড়ি থেকে অনেক শিক্ষককে এই এলাকার বিভিন্ন স্কুলে পড়াতে যেতে হয়। তাঁরা পড়েন আটকে। 

রেজিস্ট্রেশনের নামে টোটো চালকদের হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছে সিআইটিইউ অনুমোদিত ই - রিকশা চালক ইউনিয়ন ।  দীর্ঘদিন ধরে জলপাইগুড়ি শহরে টোটো চালকরা, যাঁদের জিএসটি বিল নেই, তাঁদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হচ্ছে না ।  যে সমস্ত টোটো চালকরা পুরনো টোটো কিনেছেন , তাঁদেরও রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছে না পৌরসভা । ফলে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন টোটো চালকরা।  কোনো রকম হয়রানি না করে সমস্ত টোটো চালকদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইউনিয়ন ।
 
ই - রিকশা চালক ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শুভাশিস সরকার বলেন শুধুমাত্র টোটো আটকে শহরের যানজট সম্যসার সমাধান সম্ভব নয়।  শহরের বড় বড় হোটেল, শপিং মল, ব্যাংক, হাউজিং কমপ্লেক্স- কোনো জায়গাতেই পার্কিং এর জায়গা নেই ।  শহরের কোথাও পার্কিং জোন নেই ।  রবীন্দ্র ভবনের সামনের ব্রিজ দীর্ঘদিন ধরে চালু হয়নি ।   কদমতলা থেকে বেগুনটারি হয়ে নেতাজিপাড়া বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা অবিলম্বে চওড়া করা প্রয়োজন ।  তা না করে অমানবিকভাবে শহরের ঢোকার বিভিন্ন রাস্তা আটকে টোটো চালকদের শহরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে আশপাশের গ্রামের মানুষরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। 
এদিকে, পৌরসভা এদিন বিকল্পের কথা বললেও তার সূত্র কী হবে জানায়নি এখনও। ফলে শিক্ষকরা কাজে যোগ দিতে পারবেন কবে স্পষ্ট নয়।

Comments :0

Login to leave a comment