নৈহাটি, ১৬ অক্টোবর— সাম্প্রতিক কয়েক বছরে মহামেডান স্পোর্টিং খুব বেশি খেতাব জিততে না পারলেও, খুব ধারাবাহিক। যে কোনও টুর্নামেন্টেই তাঁরা হয় ফাইনাল খেলছে নয়তো সেমিফাইনাল। গতবছর দীর্ঘ চার দশক পর কলকাতা লিগ জিতেছিল মহামেডান স্পোর্টিং। এবারের ডুরান্ডের সেমিফাইনালিস্ট। ঘরোয়া লিগেও তাঁদের ধারাবাবাহিকতা স্পষ্ট। কলকাতা লিগের সুপার সিক্স পর্বে দু’টি জয় পেল মহামেডান। শারদীয়া উৎসবের আগে প্রথম ম্যাচে তাঁরা হারিয়ে ছিল এরিয়ানকে। রবিবার তাঁরা হারালো ভবানীপুরকে। শারদীয়া উৎসবের আগেই হওয়ার কথা ছিল মহামেডান-ভবানীপুর। তখন স্থগিত হওয়ায়, এদিন ম্যাচটি হয়। ৩-০ গোলে দুরন্ত জয় আন্দ্রে চের্নিশভের দলের।
মহামেডানও নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য অনেকটাই সময় পেয়েছিল। ভবানীপুরের বিরুদ্ধে তাঁদের খেলাতেই সেই ছোঁয়া। একটা সঙ্ঘবদ্ধ দল মাঠে নামলে যা হয়, প্রত্যেকটি ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া স্পষ্ট। ভালো মানের বোঝাপড়া না থাকলে ছবির মতো পাসিং ফুটবল খেলা কখনই সম্ভব নয়। আধুনিক ফুটবলে যা হয়, একেবারে গোলকিপারের থেকে খেলার তৈরির কাজটা শুরু হয়। ভবানীপুরের বিরুদ্ধে মহামেডান নিচ থেকে নিজেদের মধ্যে একাধিক পাস খেলতে আক্রমণগুলি তৈরি করছিল। তাতেই দিশেহারা লাগছিল ভবানীপুরকে। খেলায় মহামেডানের শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণ থাকলেও গোল পেতে সময় লাগল ৪৩ মিনিট। ডানপ্রান্ত থেকে জুডিকার ভাসানো ক্রস থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মহামেডানের হয়ে বহু লড়াইয়ের নায়ক মার্কাস জোসেফ।
ম্যাচের বয়স তখন ৬৭। পেনাল্টি পায় মহামেডান। প্রীতমের শট বক্সের মধ্যে হাতে লাগান ভবানীপুরের বিদেশী ফুটবলার ক্রিজো। ম্যাচ রেফারি পেনাল্টি দিতে কোনও ভুল করেননি। স্পটকিক থেকে ঠান্ডা মাথায় ব্যবধান বাড়ান মার্কাস জোসেফ। ৭২ মিনিটে কেন লুইস কর্নার থেকে বল বাড়ান অভিষেক আম্বেদকরের উদ্দেশ্যে। অভিষেকের ভাসানোর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ৩-০ করেন মহামেডান ডিফেন্ডার ওসমানে।
এই জয়ের ফলে, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মহামেডান লিগ জয়ের আরও কাছে চলে গেল। সুপার সিক্স লিগ তালিকায় শীর্ষে সাদা কালো শিবির।
Football
মার্কাসের জোড়া গোলে জয় মহামেডানের
×
Comments :0