নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রতিদিন নতুন নতুন নাম আসছে। কিন্তু এই দুর্নীতির মাথা কালীঘাটেই। কালীঘাটের পিসি, ভাইপো এই দুর্নীতির মাথা। ইডি বা সিবিআই না ধরলে জনতার আদালতেই এদের বিচার হবে। মানুষ এই চোরদের তাড়াতে জোট বাঁধছেন।
মঙ্গলবার কাচড়াপাড়ায় সিআইটিইউ’র সভায় এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, তৃণমূলের চুরির দোসর বিজেপি। মনে করিয়ে দেন যে বিজেপি’র চালিকাশক্তি আরএসএস’র বিরুদ্ধে মুখ খোলেন না এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দুই শক্তিই গণতন্ত্র বিরোধী।
সেলিম বলেন, ‘‘ কখনও কোনও চোরকে রাজ্য পুলিশ, আবার কোনো চোরকে কেন্দ্রের পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। দিদির দূতকে মানুষ এখন তাড়া করছে। ইডি, সিবিআই যদি এই মাথা না ধরে, জনতার আদালতে এদের বিচার হবে।’’
সিআইটিইউ’র ডাকে এই সভা হয় কাচড়াপাড়া শেঠজি ভবনে। সভাপতিত্ব করেন সিআইটিইউ রাজ্য কমিটির সদস্য শম্ভু চ্যাটার্জি। জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ’র ভবন তৈরিতে ছয় লক্ষ এক হাজার টাকা দেওয়া হয়। তাকে ঘিরেই ছিল এই কর্মসূচি।
সেলিম বলেন, শিক্ষক শিক্ষিকা হওয়ার যোগ্যতার পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি মেলেনি। দিনের পর দিন এই ছেলেমেয়েরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছে। অথচ তৃণমূলের যুব নেতা, মন্ত্রীরা টাকা নিয়ে সাদা খাতা জমা দিয়েও শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছে। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে চাইছে তৃণমূল। এই রাজ্যটাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী থেকে পুরো শিক্ষা দপ্তরের মাথারা নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে হাজতে। এটা একটা রাজ্যের কলঙ্ক।’’
সেলিম বলেন, ‘‘চুরি দুষ্কৃতীরাজ এই রাজ্যে প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দিয়েছে তৃণমূল। গোরু থেকে কয়লা পাচার, চালচুরি, তোলাবাজি, কাটমানির সাম্রাজ্য তৈরি করেছে। আমরা এই দুর্নীতির সাম্রাজ্যটাকে ভাঙতে চাইছি আমরা।’’
আন্দোলনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সেলিম বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষ জাগছেন। আমরা বলছি ‘গ্রাম জাগাও, চোর তাড়াও। মানুষ এই চোরেদের তাড়াতে জোটবদ্ধ হচ্ছেন।’’
সেলিম বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুর্নীতির দোসর বিজেপি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরএসএস’র বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেন না। বিজেপি’র চালিকাশক্তি আরএসএস। এই দুই শক্তিই গণতন্ত্র মানে না। প্রতিবাদীদের কন্ঠ স্তব্ধ করে দিতে চায় পুলিশকে ব্যবহার করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে।
সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব বলেন জ্যেতি বসু রেলশ্রমিক আন্দোলনের নেতা ছিলেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিকশিত করতে তার অসামান্য অবদান আছে। সিআইটিইউ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক গার্গী চ্যাটার্জী বলেন আমরা জেলার আরও দুই জায়গায় এই কর্মসূচি হবে।
Comments :0