নেপালের পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনা। রানওয়েতে একটি ৭২-সিটের যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পডে। এই দুর্ঘটনার খবর সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে জানা গেছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। বিমানবন্দর আপাতত বন্ধ রয়েছে। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের পুরোনো বিমানবন্দর এবং পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে ভেঙে পড়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে মোট ৬৮ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন।এখনো পর্যন্ত ৬৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা এই খবর জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের আগেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি। এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কাঠমাণ্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। রানওয়ের কিছুটা দুরে থাকা সেতি নদীর তীরে এক খাদে পড়ে যায়। খাদে পড়ে যাওয়ার আগে ওই বিমানটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল।
বিমান দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় পোখারা বিমানবন্দর। উদ্ধারকাজে নামে সেনা, দমকলের আধিকারিকরা। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে স্থানীয়রাও। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, ওই বিমানটিতে অনেকে বিদেশি যাত্রী ছিলেন। শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্তত ৬৭ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নেপালের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ভারতীয় রয়েছেন। উদ্ধার কার্য এখনো চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। যদিও দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
এই দুর্ঘটনার জেরে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল।
নেপালে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস জানিেছে, বিমানে ৭২ জনের মধ্যে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা জানিয়েছেন , ছয় শিশুসহ মোট ১৫ জন বিদেশি নাগরিক ছিলেন ভেঙে পড়া বিমানে। বিমানবন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বিমানে ৫৩ জন নেপালি, ৫ জন ভারতীয়, ৪ জন রাশিয়ান, একজন আফগান, ২ জন কোরিয়ান, ১ আর্জেন্টাইন নাগরিক এবং অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড ও ফ্রান্সের নাগরিকরা ছিলেন। প্রত্যেক যাত্রীরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও নেপাল সেনাবাহিনি এখনও মৃতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে জানায়নি। এই বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেছে নেপাল সরকার।
Comments :0