বিবিসি’র দপ্তরে আয়কর তল্লাশির নিন্দা করল সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। পলিট ব্যুরো বলেছে যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাতে আয়কর দপ্তরের মতো কেন্দ্রীয় বিভিন্ন এজেন্সিকে নিয়মিত ব্যবহার করে থাকে মোদী সরকার। এবার এই কৌশল ভারতে কর্মরত বিদেশি সংবাদমাধ্যমের ওপরও প্রয়োগ করা হলো।
মঙ্গলবার ব্রিটেনের সরকারি সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের দপ্তরে হানা দেয় আয়কর দপ্তর। গুজরাট গণহত্যা প্রসঙ্গে বিবিসি’র তথ্যচিত্র দেখানো আটকাতে উঠে-পড়ে নেমেছে বিজেপি।
পলিট ব্যুরো বলেছে, ‘‘তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ সম্প্রচারের জন্যই এই টেলিভিশন চ্যানেলকে হেনস্তার নির্লজ্জ চেষ্টা করা হলো। এই তল্লাশি নিন্দনীয়।’’
পলিট ব্যুরো বলেছেন, ‘‘ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাতে নিয়মিত এই কৌশল ব্যবহার করছে মোদী সরকার। আয়কর দপ্তর এবং অন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সি হানা দিচ্ছে। এবার ভারতে কর্মরত বিদেশি সংবাদমাধ্যমের ওপরও তা প্রয়োগ করা হলো।’’
পলিট ব্যুরো বলেছে, ‘‘দমিয়ে রাখতে মোদী সরকারের এই সক্রিয়তা আন্তর্জাতিক স্তরে মোদী সরকারের কর্তৃত্ববাদী ভাবমূর্তিকে আরও স্পষ্ট করবে। যে শাসন সংবাদমাধ্যমের সমালোচনার অধিকারকে দাবিয়ে রাখতে সচেষ্ট।’’
এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ওরা ভয় পেয়েছে। তাই এসব করছে। পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মনে করিয়েছেন ২০০২’র গণহত্যার পরই গুজরাটে নির্বাচন হয়। সরকারে ফিরে আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘লাশের পাহাড়ের ওপর ভোট করে জিতেছিল বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ লুকিয়ে রাখতে এত তৎপরতা।’’
Comments :0