বুধবার বাজ পড়ে রাজ্যে মৃত্যু হলো ৮ জনের। মালদায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। মুর্শিদাবাদে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় বাজ পড়ে মালদা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ওল্ড মালদা ব্লকের একজন, কালিয়াচক ১ এবং ৩ নং ব্লকের একজন এবং কালিয়াচক ২ নং ব্লকের চারজন রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে দুই পড়ুয়া। নিহত পুড়ুয়াদের নাম সৌমিত মন্ডল(১১)। বাড়ি গোসাইহাট এলাকায়। ঈশা সরকার(১১) তার বাড়ি সেক্টরের ভাগলপুরে। তৃতীয় জনের নাম নজরুল শেখ(৩৩)। বাবলা কমলপুরের বাসিন্দা। তিনি আম বাগানে গিয়েছিলেন আম পাড়তে। সেই সময় বাজ পড়ে। তিনি আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিন সন্ধ্যায় বাজ পড়ে মালদা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যেওল্ড মালদা ব্লকের একজন, কালিয়াচক ১ এবং ৩ নং ব্লকের একজন এবং কালিয়াচক ২ নং ব্লকের চারজন রয়েছে। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে মৃতদের নাম কৃষ্ণ চৌধুরী(৬৫), উম্মে কুলসুম (৬), দেবশ্রী মন্ডল(২৭), সমজিৎ মন্ডল(১০), নজরুল শেখ(৩২), রবিজন বিবি (৫৪), এশা সরকার (৮)।
এদিন দুপুরে ক্লাস চলছিল বাঙ্গীটোলা হাই স্কুলে। আচমকা স্কুলের ছাদেই একটি বাজ পড়ে। এরপরেই আতঙ্ক তৈরি হয় ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে। অসুস্থ হয়ে পড়ে ১৫ জন পড়ুয়া। তাদের দ্রুত বাঙ্গীটোলা স্থাস্থ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর ১৫ জন পড়ুয়া প্যনিক অ্যাটাকের। মালদার ভুতনি থানার দক্ষিণ চণ্ডীপুরে বাজ পড়ে ৯টি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
ফারাক্কায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল এক যুবকের। জানা গিয়েছে এদিন দুপুরে ফারাক্কায় শুরু হয় বৃষ্টি। সেই সময় ফারাক্কার শ্রীরামপুর এলাকায় গাছ তলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বছর ২৬ এর দুলাল বসাক। তখনই বজ্রাঘাতে আহত হন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফরাক্কা থানার পুলিশ। বজ্রাঘাতে যুবকের মৃত্যুতে শোকের আবহ তৈরি হয় এলাকা জুড়ে।
জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন,‘‘ এদিন দুপুর থেকে কালো মেঘে ঢেকে যায় জেলার বিভিন্ন এলাকা। শুরু হয় বজ্রপাত-সহ বৃষ্টি। তার মধ্যেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতদের সরকারিভাবে আর্থিক ক্ষতি পূরণ দেওয়া হবে নিয়ম অনুযায়ী। সংশ্লিষ্ট ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করছেন। সমস্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে’’।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্য়াভাষ অনুযায়ী আগামীকাল থেকে বৃষ্টির পরিমান আরও বাড়বে। ফলে গরম থেকে রেহাই মিলবে। তবে আদ্রতা জনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। তবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে এখনও বর্ষা প্রবেশ করেনি। ফলে সেখানে বৃষ্টির পরিমান কমই থাকবে। এদিকে উত্তরবঙ্গে বৃহষ্পতিবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। কোচবিহার, আলপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। তবে শুক্রবারের পর থেকে উত্তরবঙ্গে কিছুটা হলেও বৃষ্টি কমবে।
Comments :0