খাবার, জল, ওষুধ সবই আটকে রেখেছে ইজরায়েল। ত্রাণ কেন্দ্রে চলছে গুলি। ১৫ জনের অনাহারে মৃত্যু হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ৪ শিশু। বিশ্বকে গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গাজার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মুখপাত্র মাহমুদ বাসিল। তিনি বলেছেন, " আমি অনশন ধর্মঘটে করবেন গোটা বিশ্বকে দেখানোর জন্য যে প্যালেস্তাইনের মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তিনি আরও বলেছেন, "শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে। আমরা যে কোনও রকমের সাহায্য কোনও বাধা বা শর্ত ছাড়াই পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি"।
ইজরায়েলের সেনা বাহিনী শেষ ২৪ ঘন্টায় গাজা জুড়ে ৭৭ জনকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মোট নিহতের সংখ্যা ৫৯,১০৬ জন ও আহত আরও ১,৪২,৫১১ জন। মাহমুদ বাসিল আবেদন করেন গাজার নিরস্ত্র অসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার বিরুদ্ধে পুরো বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে। তিনি বলেন, "প্রতিবাদ করতে হবে, অবস্থান ধর্মঘট করতে হবে, এমনকি অনশন ধর্মঘটও করতে হবে।"
মোট ২৮টি দেশের বিদেশ মন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলেছে যে গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধ এখনই বন্ধ করতে হবে। শিশু সহ অসামরিক নাগরিকদের অমানবিক হত্যার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে বিবৃতিতে। গাজায় ত্রাণ আটকে দেওয়ার বিরুদ্ধেও তারা কঠোর ভাষায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
গাজায় ইজরায়েলের নৃশংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। সোমবার গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগে সংসদের শেষ দিনে লন্ডনের সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কিন্তু মোদী সরকার নিশ্চুপ। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকেই প্যালেস্তাইনের মানুষের মুক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ভারতের মানুষ।
Comments :0