Land Struggle

তৃণমূলের মদতে জমি দখল জোতদারদের, পাল্টা জমি পুনরুদ্ধার কৃষক সভার

জেলা

লাল ঝান্ডা নিয়ে খন্ডঘোষের জুবিলা গ্রামে ১২ বিঘা জমি পুনর্দখল করলো পাট্টাদাররা।

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের পর এবার খন্ডঘোষের জুবিলা গ্রামে প্রাক্তন জোতদারদের হাত থেকে জমি পুনর্দখল করলো পাট্টাদাররা। ১২ বিঘে জমি প্রাক্তন জোতদারের আত্মীয় রাজু হাজরা জোর করে চাষ দয়ে দিলে এদিন লাল ঝান্ডা নিয়ে সেই জমি পুনর্দখল করেছেন পাট্টাদাররা। খন্ডঘোষের জুবিলা গ্রামে গরিব পাট্টাদাররা ৪৫ বছর ধরে চাষ করে আসা জমি দিন ১৫ আগে কেড়ে নেয় প্রাক্তন জোতদার। এরপর কৃষকরা ঐক্যবদ্ধভাবে লাল ঝান্ডা হাতে সেই জমি পুনরুদ্ধার করেছে। এদিন উপস্থিত ছিলেন জিয়াউল হক মিদ্দা, সুকুমার রায় সহ নেতৃবৃন্দ। 
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সাল থেকে জোতদাররা ভাগচাষী, পাট্টাদারদের উপর আক্রমন শুরু করে। প্রাক্তন জোতদারদের কাছ থেকে ভাতারে গত এক বছরে প্রায় ২০০ বিঘে জমি লড়াই করে ছিনিয়ে নিতে পেরেছে পাট্টাদাররা। এখানে তৃণমূল, পুলিশ ও জোতদার একসাথে গরিব মানুষের উপর আক্রমন চালিয়ে এসেছে। সেই আক্রমন মোকাবিলা করেই একের পর হারানো জমি লাল ঝান্ডা নিয়ে পুনর্দখল করেছে। 
খন্ডঘোষের জুবিলা গ্রামে ১৯৭৯ সালে ১২ বিঘে জমি খাস হয়। সেই জমি ৮০ সালে ১৮-২০ জনের মধ্যে বন্টন করা হয়। প্রায় ৪৫ বছর ধরে এই জমি দখলে রেখে চাষ করে আসছিল কৃষকরা। হঠাৎ ২০২৪ সালে শাসকদলের মদতে প্রথমে ২বিঘে জমি জোর করে দখল করে প্রাক্তন জোতদাররা। এরপর দিন পনেরো আগে আরও ১০ বিঘে জমি জোর করে চাষ দেয় জোতদারের বাহিনী। এই খবর পেয়ে গাঁয়ের গরিব মানুষ এককাট্টা হয়ে কৃষকসভার কাছে আসে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় সব গরিব মানুষ জোট বেঁধে জমি পুনর্দখল করা হবে। এদিন সকালেই পাট্টাদার গোকুল সাঁতরা সহ একাধিক গরিব লাল ঝান্ডা নিয়ে মানুষ মিছিল করে গিয়ে জমিতে ফের চাষ দিয়ে আল বেঁধে দেন। এরপরই খন্ডঘোষ থানা ও বিএলআরও দপ্তর থেকে প্রতিনিধিরা আসে। তাঁদের জমির পাট্টা দেখিয়ে গরিবের হকের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলে তারা চলে যায়। কৃষকসভার নেতা বিনোদ ঘোষ জানিয়েছেন যে গরিবের জমি যদি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয় তাহলে লাল ঝান্ডা চুপ করে বসে থাকবে না। গরিব পাট্টাদারদের আইনী ও পুনর্দখলে পাশে থাকবে কৃষক সভা।


 

Comments :0

Login to leave a comment