শিক্ষা, সংস্কৃতি তো বটেই। তৃণমূল কলুষিত করেছে টলিউড থেকে খেলার মাঠও। রাজ্যপাল হাতেখড়ি নিয়েছেন তাঁদের থেকে যাঁরা শিক্ষাকে কলুষিত করেছেন। উনি নাটকের অংশীদার হয়ে পড়ছেন। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে শুক্রবার এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ হেপাজতে রাখার কড়া বিরোধিতা করেছেন তিনি। চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘পুলিশের পাহাড়া না থাকলে তৃণমূল একদিনও এলাকায় থাকতে পারবে না।’’
চক্রবর্তী বলেছেন,, ‘‘রাজ্যপাল চাইলে হাতেখড়ি নিতে পারতেন যোগ্য অথচ বঞ্চিত হয়ে রাস্তায় আন্দোলনরতদের কাছ থেকে। হাতেখড়ি এই বয়সে যদি নিতেই হয়, নিতে পারতেন বঞ্চিতদের থেকে। বার্তা দিতে পারতেন তিনি যোগ্যদের পাশে। যাঁরা যোগ্যদের চাকরির অধিকার কেড়ে নেয় তাদের পাশে নয়। তা তিনি করেননি। তা আমাদের মনে হচ্ছে আসলে রাজ্যপাল নাটকের অংশীদার হয়ে পড়ছেন।’’
আইএসএফ বিধায়ক নৌসাদ সিদ্দিকি তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী একমাত্র বিধায়ক। চক্রবর্তী তা মনে করিয়ে বলেছেন, ‘‘নৌশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করে হেপাজতে রাখা ঘোরতর অন্যায়। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল জেলে জামাই আদর পাবেন। তার চেয়ে বড় কথা আইএসএফ কর্মীদের ওপর মারাত্মক হামলায় জড়িত তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম খোলা ঘুরে বেড়াবে। আর নৌশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরে রাখা হবে। এ মানা যায় না। রাজ্যের মানুষ মানুছেনও না। সর্বত্র প্রতিবাদ হয়েছে, হচ্ছে।
রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মানুষ বুঝবে তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি নয়। ফলে ঠিকভাবে ভোট হলে এরা ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে। ভাঙড় কান্ডে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বলেন, আইএসএফ তো মিছিল করতে আসছিল। কেন পুলিশের সামনেই বোমা মারা হয়? উল্টে তাঁদেরই বিধায়ককে জেলে ঢোকালে অথচ আরাবুল বাহিনী প্রকাশ্যে ঘুরছে। পুলিশ না থাকলে এই তৃণমূল বাহিনী একদিনও এলাকায় থাকতে পারবে না।’’
অমর্ত্য সেন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে চক্রবর্তী খেদ জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর আচরণে। তিনি বলেছেন, দিল্লিকে খুশি করার জন্য বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নোবেল প্রাপ্তিকে হেয় করার চেষ্টা করছেন। অমর্ত্য সেন বাংলার গর্ব। যাঁরা তাঁকে অসম্মান করার চেষ্টা করছেন তাঁদের কণামাত্র যোগ্যতা নেই।
ডিএ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ডিএ অধিকার। তা দেওয়ার প্রশ্নে ত্রিপুরাতে বিজেপি যা করছে এখানেও মমতা একই কাজ করছেন।
Comments :0