পঞ্চায়েতের টেন্ডারকে পাবে এই নিয়েই বচসা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। আর তার জন্যই এলাকা জুরে চলছে শাসক দলের তান্ডব। বোমাতঙ্কের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য এলাকার একাধিক দোকান পাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন আরামবাগের বাতানল গ্রামের ব্যবসায়ীরা।এমন কি ব্যবসায়ীরা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভের পাশাপাশি এলাকায় পুলিশি ক্যাম্পের দাবি তুললেছেন। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই কোথাও না কোথাও নানান ঘটনায় মৃত্যু হচ্ছে শিশু সহ সাধারন মানুষের।কোথাও বোমা ফেটে মৃত্যু, আবার কোথাও বোমা উদ্ধারের ঘটনাও ঘটছে।
স্থানীবদের অভিযোগ, এলাকায় প্রায়শই সকাল, সন্ধ্যায় বোমাবাজি হয়।এক দল দুষ্কৃতী এধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ।তারা কোন না কোন রাজনৈতিক দলের মদত পুষ্ট। যার জেরে ভয়ে এলাকায় দোকান বাজার গুলোতে আসছে না সাধারণ মানুষ।
আর একদিকে যেমন এক ভয়ঙ্কর আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে এলাকায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।শুক্রবার এক দল দুষ্কৃতী এলাকায় হঠাৎ করেই বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। তাদের অভিযোগ বারবার পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো ফল হয়নি।
তাই এলাকার ব্যবসায়ীরা দল মত নির্বিশেষে এক জোট হয়েই সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
কোনো দোকানে তৈরি করা খাবার, আবার কোনো দোকানে তৈরি হওয়া চা,মিষ্টি ফেলে দিয়ে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখোমুখি হয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।
যতদিন পর্যন্ত এলাকায় নিরাপত্তার জন্য পুলিশি ক্যাম্প করা হচ্ছে ততদিন দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা।
মূলতশাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই এই ধরনের বোমাবাজি বলে মনে করছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। তবে এই ঘটনায় মুখ খুলতে চাইছেন না কেউ।সিপিআই(এম) নেতা পূর্ণেন্দুচ্যাটার্জী জানান, ভোট আসলেই তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্ধ প্রকাশ পায়।তবে এই ঘটনা পঞ্চায়েতের টাকার বকরা নিয়ে।
Comments :0