শনিবার সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে প্রবলতর প্রতিপক্ষ কেরালা ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মোহনবাগান। তবে বিশেষত্ব হল মোহনবাগানের স্কোয়াডের বেশিরভাগ ফুটবলাররাই ছিল রিসার্ভ দলের । ম্যাচ শুরুর আগেই সমর্থকদের মনে আশঙ্কা দানা বেঁধেছিল যে প্রথম ম্যাচেই না বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় সবুজমেরুন। কিন্তু ম্যাচে সুপার কাপের অন্যতম দাবিদার হিসেবে গণ্য করা কেরালার বিদায়ঘণ্টা বাজাল মোহনবাগানের দ্বিতীয় দলের খেলোয়াড়রা। ডেগি কার্ডোজোর অধীনে এই দলটিই কিছুদিন আগে RFDL চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ফলে সেই কোর দলটাই এই স্কোয়াডের আসল নির্যাস। সঙ্গে রয়েছেন সিনিয়র দলের অভিজ্ঞ সহকারী কোচ বাস্তব রায়। গতকালের ম্যাচে নুনো রেয়েস মোটের উপর ভালো পারফর্ম করেছেন। তবে নজর কেড়েছেন দুই কেরালান ছেলে সাহাল ও আশিক কুরুনিয়ান। স্কিলের ঝলকে একটা সময় কেরালাকে নিয়ে ছেলেখেলা করছিলেন এই দুই সেরা ভারতীয় মিডফিল্ডার। এছাড়াও সুহেল , অমনদীপ ও সালাহউদ্দিনরা নজরকাড়া পারফর্ম করেছেন। RFDL এর ম্যাচে সালাহউদ্দিন দারুন পারফর্ম করেছিলেন। মোহনবাগান দলের ভবিষ্যতের তারকা হয়ে ওঠার রসদ লুকিয়ে রয়েছে এই উইঙ্গারের মধ্যে। নতুন ভারতীয় খেলোয়াড়ের পিছনে না ছুটে সবুজ মেরুন ম্যানেজেমেন্টের উচিত এই ফুটবলারদেরকেই সুযোগ করে দেওয়া সিনিয়র দলে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার আর্থিক ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে সুসংগঠিত ম্যানেজেমেন্ট এবং প্রত্যেকটি বয়সভিক্তিক বিভাগে সঠিকভাবে খেলোয়াড়দের পরিচর্যার এক জ্বলন্ত নিদর্শন ভারতীয় ফুটবলে ক্রমাগত স্থাপন করেই চলেছে সবুজ মেরুন ম্যানেজমেন্ট। যা অন্যদের কাছে শিক্ষণীয় ব্যাপার। সিনিয়র চ্যাম্পিয়ন দলের ডিএনএ -ই যেন এই স্কোয়াডের প্রত্যেকটি ফুটবলারের মজ্জায় সংরক্ষিত হয়ে গেছে ।
Kalinga Super Cup
চ্যাম্পিয়ন ডিএনএ সবুজ মেরুনের

×
Comments :0